ক্রিকেট – MS TV https://mstvbd.com সত্যের সন্ধানে MS TV অনুসন্ধানে কোটি মানুষের হৃদয়ে Sun, 30 Oct 2022 11:50:45 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.8.1 https://mstvbd.com/wp-content/uploads/2023/01/cropped-cropped-1591217998701-32x32.png ক্রিকেট – MS TV https://mstvbd.com 32 32 শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ৩ রানে জিতলো বাংলাদেশ https://mstvbd.com/?p=7520 https://mstvbd.com/?p=7520#respond Sun, 30 Oct 2022 11:50:45 +0000 https://mstvbd.com/?p=7520 ...বিস্তারিত পড়ুন]]> বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ম্যাচ শেষ ওভারে এতটাই স্নায়ুক্ষয়ী উত্তেজনা তৈরি করেছিলো যে, তা রীতিমত বিস্ময়কর। শেষ বলে এসে দেখা দেয় চূড়ান্ত নাটকীয়তা।

শেষ বলে জিম্বাবুয়ের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৫ রান। বোলার মোসাদ্দেকে। ব্যাটার মুজারাবানি। ক্রিজ ছেড়ে ব্যাট চালান ব্যাটার। কিন্তু বল মিস করেন। উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান স্ট্যাম্পিং করে দিলেন। বিজয়োল্লাসে মেতে ওঠে বাংলাদেশ দল।

উল্লাস শেষে বিজয়ী এবং পরাজিত দলের ক্রিকেটাররা একে অপরের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করে। বাংলাদেশ দলের সঙ্গে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটাররাও মাঠ ছেড়ে উঠে যায়।

কিন্তু ছোট গল্পের মত ‘শেষ হইয়াও হইলো না শেষ’- বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের ম্যাচের শেষটা তখনও বাকি ছিল। মুজারাবানি আউট হয়েছেন কি না, থার্ড আম্পায়ারকে দেখতে বলেন ফিল্ড আম্পায়াররা। সেখানেই বাধে বিপত্তি। রিপ্লাইতে দেখা যায়, বল স্ট্যাম্পে আসার আগেই বল গ্লাভসে পুরে নেন নুরুল হাসান সোহান।

নিয়ম অনুযায়ী ব্যাটার তো নটআউটই থাকলেন, সঙ্গে বৈধ বল হয়ে গেলো ‘নো’ বল। খেলোয়াড়রা বাউন্ডারি লাইন পার হয়ে গেলো, উইকেট পরিচর্যার জন্য রোলার নিয়ে কর্মীরাও মাঠে প্রবেশ করে ফেলেছে। এ সময় সাইটস্ক্রিনে জ্বলজ্বল করে উঠলো ‘নট আউট’ অ্যান্ড ‘নো বল’।

সুতরাং, বাংলাদেশ দলের ফিল্ডারদের সঙ্গে জিম্বাবুয়ের দুই ব্যাটারকে আবারও মাঠে নামতে হলো শেষ বল খেলার জন্য। একই সঙ্গে জিম্বাবুয়ে ইনিংসের সঙ্গে যোগ হলো এক রান। একই সেঙ্গ ফ্রি-হিট পেলো জিম্বাবুয়ে। কিন্তু বাংলাদেশের সমর্থকদের স্বস্তি দিয়ে শেষ বলটিতে কোনো রান নেয়া থেকে মুজারাবানিকে বিরত রাখতে পারলেন মোসাদ্দেক। ৪ রানের জায়গায় বাংলাদেশ জিতলো তিন রানে।

সবচেয়ে বড় কথা, যে কোনোভাবেই হোক- বাংলাদেশ দল দু’বার বিজয়উল্লাস করলো এই ম্যাচে।

শেষ ওভারে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ১৬ রান। শেষ ওভার করার জন্য সাকিব আল হাসান বল তুলে দিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের হাতে। ব্যাট করছেন ব্রাড ইভান্স এবং রায়ান বার্ল। প্রথম বলে দিলেন ১ রান। দ্বিতীয় বলে ব্রাড ইভান্স ছক্কা হাঁকাতে গেলেন। কিন্তু বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে বলটি তালুবন্দী করে নিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ৪ বলে প্রয়োজন পড়ে ১৫ রান।

তৃতীয় বলটি উইকেটরক্ষকের পেছন দিয়ে বাউন্ডারি মেরে দেন ব্রাড ইভান্স। চতুর্থ বলে দিলেন ছক্কা। ২ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন পড়ে ৫ রান। পঞ্চম বলে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে মিস করেন ইভান্স। বল ধরে স্ট্যাম্প ভেঙে দিতে মোটেও বিলম্ব করেননি নুরুল হাসান সোহান। ১ বলে প্রয়োজন ৫ রান। শেষ বলে নাটকীয়তা তৈরি হয়। যার ফলে ১ বলে প্রয়োজন হয় ৪ রান। কিন্তু আর কোনো রান নিতে পারেনি জিম্বাবুয়ে।

ব্রিসবেনের দ্য গ্যাবায় স্নায়ুক্ষয়ী এই ম্যাচে বাংলাদেশের করা ১৫০ রানের জবাব দিতে নেমে ১৪৭ রানে থেমে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। ফলে ৩ রানে জিতে গেলো বাংলাদেশ।

এবারের বিশ্বকাপে দল হিসেবে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স যাই হোক, ব্যক্তি হিসেবে তাসকিন আহমেদ দুর্দান্ত। এখনও পর্যন্ত খেলা তিন ম্যাচের প্রতিটিতেই প্রথম ওভারে উইকেট নেয়ার নজির গড়লেন তিনি। প্রথম ম্যাচে তো প্রথম দুই বলেই উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিন আফ্রিকার টেম্বা বাভুমাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন প্রথম ওভারে।

আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও প্রথম ওভারেই তাসকিন ঝলক। উইকেট নিলেন তিনি। ফিরিয়ে দিলেন জিম্বাবুয়ে ওপেনার ওয়েসলি মাধভিরেকে। প্রথম বলে কোনো রান দেননি। দ্বিতীয় বলে হজম করেন বাউন্ডারি।

তৃতীয় বলটি করেছিলেন অফসাইডে। মাধভিরে ব্যাট পেতে দেন। যে কারণে ব্যাটের ওপরের কানায় লেগে থার্ডম্যানে ক্যাচ উঠে যায়। যা তালুবন্দী করে নেন মোস্তাফিজুর রহমান।

দ্বিতীয় উইকেটটিও দখলে নিলেন তাসকিন। নিজের দ্বিতীয় এবং ইনিংসের তৃতীয় ওভারের ৪র্থ বলেই ক্রেইগ আরভিনকে ফিরিয়ে দেন তাসকিন। ফুল লেন্থে অফ স্ট্যাম্পের বাইরে বলটি করেন তাসকিন। ড্রাইভ করতে গিয়েছিলেন ক্রেইগ আরভিন।

কিন্তু গতির কাছে পরাস্ত হন তিনি। বল ব্যাটের প্রান্ত চুমু দিয়ে গিয়ে জমা পড়ে নুরুল হাসান সোহানের হাতে। ৭ বলে ৮ রান করে বিদায় নেন আরভিন। এ সময় শীর্ষের কৃতিত্বে হাততালি দিতে দেকা যায় অ্যালান ডোনাল্ডকে।

৬ষ্ঠ ওভারে সাকিব আল হাসান আক্রমণে নিয়ে আসেন মোস্তাফিজুর রহমানকে। তাসকিন আহমেদ শুরুটা করেছিলেন, এরপর তার ধারাবাহিকতা রক্ষার ব্যাটনটা তুলে নিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। শুধু তাই নয়, একই ওভারে দুই উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে দারুণভাবে ফিরিয়ে আনেন মোস্তাফিজুর রহমান।

বোলিংয়ে এসে দ্বিতীয় বলেই উইকেট নিলেন বাঁ-হাতি এই কাটারমাস্টার। মোস্তাফিজের বলে শট খেলতে গিয়েছিলেন মিল্টন সুম্বা। বল উঠে যায় মিড অফে। বাম পাশে একটু দৌড়ে গিয়ে অনেকটা ঝাঁপ দিয়ে পড়েই ক্যাচটি তালুবন্দী করেন সাকিব আল হাসান। অসাধারণ ক্যাচ ছিল এটি।

সবচেয়ে বড় কথা, ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই সিকান্দার রাজাকে ফিরিয়ে দিলেন মোস্তাফিজ। মিল্টন সুম্বার পর ব্যাট করতে নামা সিকান্দার রাজাকে আফিফ হোসেনের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন মোস্তাফিজ। কোনো রানই করতে পারেননি রাজা। ৩৫ রানে বিদায় নেন ৪ সেরা ব্যাটার।

তবে সিকান্দার রাজা আউট হলেও বাংলাদেশের সামনে আজ বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে যান শন উইলিয়ামস। রেগিস চাকাভাকে নিয়ে ৩৪ রানের জুটি গড়েন উইলিয়ামস। চাকাভা ১৫ রান করে বিদায় নেন। এরপর রায়ান বার্লকে নিয়ে ৫৯ রানে জুটি গড়েন উইলিয়ামস। ৪২ বলে ৬৪ রানে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা শন উইলিয়ামসকে রানআউট করেন সাকিব আল হাসান।

১৯তম ওভারের ৪র্থ বলে ১ রান নিতে গিয়ে সাকিবের সরাসরি থ্রোয়ে রানআউট হন শন উইলিয়ামস। এরপর শেষ ওভারে মোসাদ্দেকের দ্বিতীয় বলেই আউট হয়ে যান ব্রাড ইভান্স। রিচার্ড এনগারাভা একটি ছক্কা মেরে শঙ্কা তৈরি করলেও নুরুল হাসান সোহানের স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন রিচার্ড এনগারাভা।

২৫ বলে ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন রায়ান বার্ল। তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে ১টি মেডেন ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট নেন মোসাদ্দেক হোসেন এবং মোস্তাফিজুর রহমান।

এর আগে ব্রিসবেনের দ্য গ্যাবায় টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৭১ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আফিফ হোসেন করেন ২৯ এবং সাকিব আল হাসান করেন ২৩ রান।

]]>
https://mstvbd.com/?feed=rss2&p=7520 0
এ বিজয় ক্রিকেট দলকে আরো শক্তিশালী করবে বলে জানিয়েছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী https://mstvbd.com/?p=6510 https://mstvbd.com/?p=6510#respond Fri, 25 Feb 2022 22:56:18 +0000 https://mstvbd.com/?p=6510 ...বিস্তারিত পড়ুন]]> আফগানিস্তানের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। শুক্রবার চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ ৮৮ রানে হারিয়েছে আফগানদের। ক্রিকেটারদের অসাধারণ এই নৈপুণ্যে তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো.জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।

ক্রীড়া প্রতিমন্তী এক বার্তায় এক ম্যাচ হাতে রেখেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ী বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, ‘আমি আশা করি সাফল্যের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, অসাধারণ নৈপুণ্যে সিরিজ জিতেছে টাইগাররা। এই বিজয় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে আরো শক্তিশালী করবে। আশা করছি, সফরকারীদের বিপক্ষে বাকী ম্যাচেও বিজয়ের এই ধারা অব্যাহত থাকবে ইনশাল্লাহ।

উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৪ উইকেটে এবং দ্বিতীয় ম্যাচ ৮৮ রানে হারিয়েছে আফগানিস্তানকে।

]]>
https://mstvbd.com/?feed=rss2&p=6510 0
সুনিল নারিন ঝড়ে রেকর্ড গড়ে ফাইনালে কুমিল্লা https://mstvbd.com/?p=6443 https://mstvbd.com/?p=6443#respond Wed, 16 Feb 2022 20:30:31 +0000 https://mstvbd.com/?p=6443 ...বিস্তারিত পড়ুন]]> লক্ষ্য ১৪৯ রানের। যা তাড়া করতে নেমে ৬ ওভারেই দলের সংগ্রহ ৮৪ রান। পাওয়ার প্লে’তে প্রায় ৬০ শতাংশ রান করে ফেলার পর জয় পাওয়া ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। যা তুলে নিতে একদমই কালক্ষেপণ করেনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তারুণ্যনির্ভর চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে রীতিমতো উড়িয়ে ফাইনালে উঠে গেছে দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা।

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচটিতে পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন মূলত কুমিল্লার ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার সুনিল নারিন। তার ঝড় তুলে গড়া রেকর্ড ফিফটিতে ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২.৫ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে কুমিল্লা। শুক্রবার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হবে ইমরুল কায়েসের দল।

ম্যাচের প্রথম ইনিংসে চট্টগ্রামের করা ১৪৮ রানের জবাবে ইনিংসের প্রথম বলেই লিটন দাসের উইকেট হারায় কুমিল্লা। চট্টগ্রামের এই খুশির রেশ মাত্র দুই বল টিকতে দেন সুনিল নারিন। একের পর এক বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারিতে চট্টগ্রামের বোলারদের নাভিশ্বাস তুলে দেন এ ক্যারিবীয় ওপেনার।

শরিফুল ইসলাম, মেহেদি হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, আফিফ হোসেন ধ্রুবদের চার-ছক্কায় ভাসিয়ে মাত্র ১৩ বলে ফিফটি করেন নারিন। যা বিপিএল ইতিহাসে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। এর আগে বিপিএলে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড ছিল আহমেদ শেহজাদের, ১৬ বলে। এছাড়া কুড়ি ওভারের ক্রিকেটেই এর চেয়ে কম বলে ফিফটির রেকর্ড আছে আর মাত্র তিনটি।

নারিনের এই রেকর্ড ফিফটির সুবাদে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই ৮৪ রান করে ফেলে কুমিল্লা। যা বিপিএল ইতিহাসে পাওয়ার প্লে’তে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এতদিন ধরে পাওয়ার প্লে’তে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল ২০১৩ সালের আসরে খুলনা টাইগার্সের করা ৮৩ রান, যা তারা করেছিল রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে।

দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়ে ১৬ বলে ৫৭ রান করে আউট হন নারিন। তার ১৬ বলের ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৬টি ছয়ের মার। নারিনের ইনিংসের পর অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ২২ রান। এরপর ঝড় তোলেন মইন আলি ও ফাফ ডু প্লেসি।

এ দুই বিদেশির ৪.৩ ওভারে অবিচ্ছিন্ন ৫৪ রানের জুটিতে ৪৩ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে যায় কুমিল্লা। তিন চার ও দুই ছয়ের মারে মাত্র ১৩ বলে ৩০ রান করেন মইন। ফাফের ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে ৩০ রানের অপরাজিত ইনিংস।

এর আগে টস জিতে চট্টগ্রামকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। প্রতিপক্ষের আমন্ত্রণে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারের ৫ বল আগেই ১৪৮ রানে অলআউট হয়ে যায় চট্টগ্রাম। একপর্যায়ে চট্টগ্রামের ইনিংসের যে অবস্থা ছিল, তাতে মনে হচ্ছিল একশ রানই হয়তো করতে পারবে না তারা।

তবে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৬১ রান যোগ করে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন মিরাজ ও আকবর। তাদের দুজনের ব্যাটেই মূলত মুখ রক্ষা হয়েছে চট্টগ্রামের। আকবর ৩৩ ও মিরাজ খেলেছেন ৪৪ রানের ইনিংস।

অথচ চট্টগ্রামের ইনিংসের শুরুটা ছিল উড়ন্ত। প্রথম ওভারের প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকান পেটের প্রদাহ থেকে সুস্থ হয়ে একাদশে ফেরা উইল জ্যাকস। আবু হায়দার রনির সেই ওভারে আরও দুই চার মারেন আরেক ওপেনার জাকির হাসানও। এ দুজনের ব্যাটে প্রথম ৩ ওভারে ৩০ রান করে ফেলে চট্টগ্রাম।

সুনিল নারিনের করা তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে তামিম ইকবাল ও আন্দ্রে ফ্লেচারকে ছাড়িয়ে চলতি আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে যান জ্যাকস। তবে পরের ওভারে আক্রমণে এসেই এ ইংলিশ তরুণকে সাজঘরে পাঠান শহিদুল ইসলাম। ইমরুল কায়েসের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ২ চার ও ১ ছয়ের মারে ৯ বলে ১৬ রান করেন জ্যাকস।

পরের ওভারে আরেক ইনফর্ম ব্যাটার চ্যাডউইক ওয়াল্টনের উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলামের বলে লেগ বিফোর হওয়া ওয়াল্টন করতে পেরেছেন মাত্র ২ রান। সেই ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে ইতিবাচক শুরুর ইঙ্গিত দেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক আফিফ হোসেন ধ্রুব।

কিন্তু মইন আলি করার পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে জোড়া ধাক্কা খায় চট্টগ্রাম। পরপর দুই বলে সাজঘরে ফিরে যান জাকির হাসান (১৯ বলে ২০) ও শামীম পাটোয়ারী (১ বলে ০)। হ্যাটট্রিক বল ঠেকান ছয় নম্বরে নামা মেহেদি হাসান মিরাজ। সেই ওভারে কোনো রানই খরচ করেননি মইন। পাওয়ার প্লে শেষে স্কোর দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৪৩ রান।

এরপর দলীয় পঞ্চাশ হতেই সাজঘরের পথ ধরেন ১০ রান করা অধিনায়ক আফিফ। মাত্র ৫০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে গভীর চাপে পড়ে যায় চট্টগ্রাম। সেখান থেকে হাল ধরেন মিরাজ ও আকবর। শুধু দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করাই নয়, দুজন মিলে রানও তোলেন দ্রুতগতিতে। বিশেষ করে আকবরের ব্যাট ছিল অধিক সচল।

মইন আলির করা ১২তম ওভারে স্লগ সুইপ করে দারুণ এক ছক্কা হাঁকান আকবর। একই ওভারের শেষ বলে হাঁকান বাউন্ডারি। পরের ওভার নিয়ে আসা তানভিরকে একটি করে ছক্কা মারেন আকবর ও মিরাজ। যার সুবাদে ইনিংসের ১৩ ওভারেই চট্টগ্রামের দলীয় একশ রান পূরণ হয়ে যায়।

এরপর আর বেশিক্ষণ থাকা হয়নি আকবরের। আবু হায়দারের করা ১৫তম ওভারে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ২০ বলে ৩৩ রান করেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার। যেখানে ছিল দুইটি করে চার ও ছয়ের মার। আকবর ফেরার পর ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হন ৫ বলে ৩ রান করা বেনি হাওয়েল।

ইনিংসের বাকি অংশে চট্টগ্রামকে এগিয়ে নেন মেহেদি মিরাজ ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী নিপুণ। বিশেষ করে শহিদুল ইসলামের করা ১৯তম ওভারে মিরাজ একটি ও মৃত্যঞ্জয় হাঁকান দুইটি ছক্কা। যা চট্টগ্রামকে নিয়ে যায় দেড়শ ছুঁইছুঁই স্কোরে। সেই ওভারেই অবশ্য আউট হন মিরাজ। তার ব্যাট থেকে আসে ৩ চার ও ২ ছয়ের মারে ৪৪ রান।

অন্যদিকে মৃত্যুঞ্জয় দুই ছয়ের মারে করেন ১৫ রান। কুমিল্লার পক্ষে মইন ও শহিদুল নেন ৩টি করে উইকেট। এছাড়া আবু হায়দার, মোস্তাফিজ ও তানভিরের শিকার ১টি করে উইকেট।

]]>
https://mstvbd.com/?feed=rss2&p=6443 0