অভিযোগ – MS TV https://mstvbd.com সত্যের সন্ধানে MS TV অনুসন্ধানে কোটি মানুষের হৃদয়ে Fri, 26 Aug 2022 18:56:49 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.8.1 https://mstvbd.com/wp-content/uploads/2023/01/cropped-cropped-1591217998701-32x32.png অভিযোগ – MS TV https://mstvbd.com 32 32 কসবার কোল্লাপাথরে চলছে রাতের আঁধারে পাহাড় কাটার মহোৎসব https://mstvbd.com/?p=7246 https://mstvbd.com/?p=7246#respond Fri, 26 Aug 2022 18:56:49 +0000 https://mstvbd.com/?p=7246 ...বিস্তারিত পড়ুন]]> ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের কোল্লাপাথর গ্রামের ল্যাংড়া কামাল মিয়ার বাড়িতে চলছে রাতের আঁধারে পাহাড় কাটার মহোৎসব।

শুক্রবার (২৬ আগস্ট) বিকালে সরজমিনে গিয়ে এমনটাই দেখা গেছে।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন যাবত রাতের আঁধারে ল্যাংড়া কামাল মিয়া ও তার স্ত্রী শিখা বেগম স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করে আসছেন, এ বিষয়ে একাধিকবার পাহাড় কাটার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হলেও থেমে নেই তাদের পাহাড় কাটা।

স্থানীয়রা আরও জানান, কিছু প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিজের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে স্থানীয়দের হুমকি ধামকি ও মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে এসব অপকর্ম করে প্রকৃতি ও পরিবেশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে এই পরিবারটি।

এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ উল আলম জানান, মাননীয় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে, খুব শীঘ্রই পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।

]]>
https://mstvbd.com/?feed=rss2&p=7246 0
চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ ৭ জনকে মারধরের অভিযোগ https://mstvbd.com/?p=6776 https://mstvbd.com/?p=6776#respond Fri, 22 Apr 2022 06:54:09 +0000 https://mstvbd.com/?p=6776 ...বিস্তারিত পড়ুন]]> চুয়াডাঙ্গায় তদন্তে গিয়ে অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ একই পরিবারের সাতজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার কুন্দিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

আহতরা হলেন- কুন্দিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের স্ত্রী জমেলা খাতুন (৬৫), তার তিন ছেলে ইসরাফিল হোসেন (৩৪), হোসেন আলী (৪০) ও মুসা করিম (৩০), ইসরাফিলের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী জাকিয়া খাতুন (২২), মুসা করিমের স্ত্রী সাবিনা খাতুন (২৬) ও হোসেনের স্ত্রী শিউলি খাতুন (২২)। এদের মধ্যে একজনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি রেখে বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

তবে পুলিশ দেয়া তথ্যের বরাতে জানা যায় , গেল মঙ্গলবার ঈদে গরুর মাংসের জন্য করা সমিতির টাকা দেওয়াকে কেন্দ্র করে কুন্দিপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে হোসেন আলীর সঙ্গে একই গ্রামের কদম আলীর ছেলে মোস্তফার মারামারির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় হোসেন আলীর বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় একটি অভিযোগ করেন আহত মোস্তফা।

গেল বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় হিজলগাড়ী পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মজিবর রহমান অভিযোগের তদন্ত করতে কুন্দিপুর গ্রামে যান। এ সময় পুলিশ দেখে অভিযুক্ত হোসেন আলী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাড়ির টিনের চালের সঙ্গে তার কপাল কেটে যায়। কপাল থেকে রক্ত বের হতে দেখলে পুলিশের ওপর চড়াও হয় তার পরিবারের লোকজন ও গ্রামবাসী। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সেখান থেকে ফিরে আসে পুলিশ।

আহত হোসেন আলীর মা জমেলা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, ‘রাতে হিজলগাড়ী ক্যাম্পের দুই পুলিশ সদস্য গ্রামে এলে আমার ছেলে ভয়ে পালিয়ে যায়। পরে আমার ছেলেকে ধাওয়া করে মারধর করে। এতে আমার ছেলের কপাল কেটে রক্তপাত হলে অজ্ঞান হয়ে যায়। খবর পেয়ে হোসেনের স্ত্রীসহ আমরা ঘটনাস্থলে গেলে আমাদের দেখে পুলিশ চলে যায়। পরে দর্শনা থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশে এলে আমরা প্রতিবাদ করি। এতে পুলিশ সদস্যরা আমাকে গুলি করারও হুমকি দেন। তারা আমাকেসহ তিন পুত্রবধূ ও আমার তিন ছেলেকে মারধর করে।’

আহত জাকিয়া খাতুন বলেন, ‘আমি ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আমার স্বামীসহ আমি ঘটনাস্থলে যাই। পুলিশ মনে করেছে যে আমরা তাদের ওপর হামলা করতে গিয়েছি। পরে আমার স্বামীকে খুঁজতে আমার ঘরে আসে পুলিশ। ঘরের মধ্যে আমার স্বামীকে ধরে গুলি করার জন্য বন্দুক তাক করে। আমি সামনে গেলে বন্দুকের বাঁট দিয়ে আমার পায়ে আঘাত করে এবং ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় তারা। সেখানে কোনো নারী পুলিশ ছিল না। একজন নারীকে কীভাবে পুরুষ পুলিশ সদস্য মারধর করে?

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসনাত পারভেজ শুভ এমএস টিভিকে বলেন, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে হোসেন আলী মাথা ও চোখে আঘাত পেয়েছেন। তাকে ভর্তি রেখে বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবির এমএস টিভিকে বলেন, একটি অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়েছিল হিজলগাড়ী পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা। পরে অভিযুক্ত পালানোর সময় কপাল কেটে গেলে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের হাতাহাতি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দর্শনা থানা পুলিশ। তবে কাউকে মারধর করেনি পুলিশ।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম এমএস টিভিকে বলেন, শুক্রবার দর্শনা থানায় বিষয়টি নিয়ে বসা হবে। উভয়পক্ষের কথা শোনা হবে। তবে যে অপরাধী প্রমাণ হবে তাকেই আইনের আওতায় আনা হবে।

]]>
https://mstvbd.com/?feed=rss2&p=6776 0