মুক্তিযুদ্ধ – MS TV https://mstvbd.com সত্যের সন্ধানে MS TV অনুসন্ধানে কোটি মানুষের হৃদয়ে Tue, 07 Mar 2023 02:17:16 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.8.1 https://mstvbd.com/wp-content/uploads/2023/01/cropped-cropped-1591217998701-32x32.png মুক্তিযুদ্ধ – MS TV https://mstvbd.com 32 32 বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ https://mstvbd.com/?p=7933 https://mstvbd.com/?p=7933#respond Tue, 07 Mar 2023 02:17:16 +0000 https://mstvbd.com/?p=7933 ...বিস্তারিত পড়ুন]]> ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক অনন্য দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তখনকার রেসকোর্স ময়দান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। এ দিন লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে এই মহান নেতা বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেবো, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

বঙ্গবন্ধুর একাত্তরের ৭ মার্চ দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণ পরবর্তীতে স্বাধীনতার সংগ্রামের বীজমন্ত্রে রূপ নেয়। এ ভাষণ শুধু রাজনৈতিক দলিলই নয়, জাতির সাংস্কৃতিক পরিচয় বিধানের একটি সম্ভাবনাও তৈরি করে। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। এছাড়াও এ ভাষণটি পৃথিবীর অনেক ভাষায় অনুদিত হয়েছে।

একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর এই উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা। এরপরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। বঙ্গবন্ধুর এই বজ্রনিনাদে আসন্ন মহামুক্তির আনন্দে বাঙালি জাতি উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। যুগ যুগ ধরে শোষিত-বঞ্চিত বাঙালি ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় কাঙ্ক্ষিত মুক্তির লক্ষ্যে।

১৯৪৭ সালে ধর্মীয় চিন্তা, সাম্প্রদায়িকতার মানসিকতা ও দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে গঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতিসত্তা, জাতীয়তাবোধ ও জাতিরাষ্ট্র গঠনের যে ভিত রচিত হয় তারই চূড়ান্ত পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর ছাত্র-কৃষক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনে বাঙালি জাতি। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণে গর্জে ওঠে উত্তাল জনসমুদ্র। লাখ লাখ মানুষের গগনবিদারী স্লোগানের উদ্দামতায় বসন্তের মাতাল হাওয়ায় সেদিন পত্ পত্ করে ওড়ে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত লাল-সবুজের পতাকা। লক্ষ শপথের বজ্রমুষ্টি উত্থিত হয় আকাশে। সেদিন বঙ্গবন্ধু মঞ্চে আরোহণ করেন বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে। ফাগুনের সূর্য তখনো মাথার ওপর। মঞ্চে আসার পর তিনি জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন।

তখন পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান লাখ লাখ বাঙালির ‘তোমার দেশ আমার দেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ, তোমার নেতা আমার নেতা শেখ মুজিব, শেখ মুজিব’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে। তিনি দরাজ গলায় তার ভাষণ শুরু করেন, ‘ভাইয়েরা আমার, আজ দুঃখ-ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি’ এরপর জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বাংলা ও বাঙালির স্বাধীনতার মহাকাব্যের কবি ঘোষণা করেন- ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম…, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

মাত্র ১৯ মিনিটের ভাষণ। এই স্বল্প সময়ে তিনি ইতিহাসের পুরো ক্যানভাসই তুলে ধরেন। তিনি তার ভাষণে সামরিক আইন প্রত্যাহার, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, গোলাগুলি ও হত্যা বন্ধ করে সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়া এবং বিভিন্ন স্থানের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানান।

বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘ভাইয়েরা আমার, আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না, মানুষের অধিকার চাই। প্রধানমন্ত্রিত্বের লোভ দেখিয়ে আমাকে নিতে পারেনি। ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে দিতে পারেনি। আপনারা রক্ত দিয়ে আমাকে ষড়যন্ত্র-মামলা থেকে মুক্ত করে এনেছিলেন। সেদিন এই রেসকোর্সে আমি বলেছিলাম, রক্তের ঋণ আমি রক্ত দিয়ে শোধ করবো। আজও আমি রক্ত দিয়েই রক্তের ঋণ শোধ করতে প্রস্তুত।’

তিনি বলেন, ‘আমি বলে দিতে চাই- আজ থেকে কোর্ট-কাচারি, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সব অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। কোনো কর্মচারী অফিসে যাবেন না। এ আমার নির্দেশ।’

বঙ্গবন্ধুর ভাষণের সর্বশেষ দুটি বাক্য, যা পরবর্তীতে বাঙালির স্বাধীনতার চূড়ান্ত লড়াইয়ের দিকনির্দেশনা ও প্রেরণার হাতিয়ারে পরিণত হয়। বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেবো। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয়বাংলা’।

]]>
https://mstvbd.com/?feed=rss2&p=7933 0
বাংলাদেশকে নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী https://mstvbd.com/?p=6626 https://mstvbd.com/?p=6626#respond Sun, 27 Mar 2022 01:13:50 +0000 https://mstvbd.com/?p=6626 ...বিস্তারিত পড়ুন]]> বাংলাদেশ এবং এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ কোনোদিন ছিনিমিনি খেলতে পারবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ নিয়ে আর কেউ কোনো খেলা খেলতে পারবে না। মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ কখনো ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। বাংলাদেশ যে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে ইনশাল্লাহ সেভাবেই এগিয়ে যাবে।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের সমাপনী উপলক্ষে শনিবার (২৬ মার্চ) রাতে পাঁচদিনব্যাপী আয়োজিত ‘জয় বাংলার জয়োৎসব’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মন্ত্রিসভা কমিটি আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি।

তার সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ রূপকল্প-২০২১ নির্ধারণ করে মধ্যম আয়ের দেশ গড়ে তোলার যে ঘোষণা দিয়েছিল সে অনুযায়ী আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। মানুষের মাথাপিছু আয়, গড় আয়ু ও সাক্ষরতার হার বেড়েছে। সবচেয়ে বড় কথা আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। আজ শতভাগ বিদ্যুৎ দেওয়ার মাধ্যমে সব ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বালানোর মাধ্যমে আমরা আলোর পথে যাত্রা করতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি বলেন, ২০৪১ সালের বাংলাদেশ কেমন হবে সেই প্রেক্ষিত পরিকল্পনাও আমরা প্রণয়ন করেছি। পাশাপাশি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা করেও তা বাস্তবায়ন করছি। ১০০ বছরের জন্য ডেল্টা প্ল্যান করে তার কিছু কিছু আমরা বাস্তবায়ন করে দিচ্ছি। যেন এ ব-দ্বীপ অঞ্চলের মানুষ প্রজন্মের পর প্রজন্ম সুন্দর এবং উন্নত জীবন পায়।

দেশের প্রতিটি পরিবারের জন্য অন্তত একটি ঘর করে দেওয়ায় তার সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে সরকারপ্রধান বলেন, এদেশে একটি মানুষও আর ভূমিহীন বা গৃহহীন থাকবেনা এবং ইনশাল্লাহ সেটা আমরা নিশ্চিত করবো। এ পথে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি এবং এভবেই বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলবো।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশ করেছি, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট করেছি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন করছি, মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছি, ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। যেন বাংলাদেশকে আর কখনো যেন কেউ অবহেলা করতে না পারে। বিশাল এ কর্মযজ্ঞের একটাই উদ্দেশ্য, দেশের মানুষ যেন বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে চলতে পারে। শিক্ষা-দীক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জ্ঞানসহ সববিক থেকে যেন আমরা এগিয়ে থাকতে পারি।

তিনি বলেন, জাতির পিতা স্বাধীনতার মাত্র নয় মাসের মাথায় যে সংবিধান দিয়েছিলেন তাই অক্ষরে অক্ষরে মেনে তারই পদাংক অনুসরণ করে দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার ব্যবস্থা আমরা করেছি এবং এগিয়ে যাচ্ছি।

মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া এবং অনুষ্ঠানের আয়োজক মন্ত্রিসভা কমিটির সদস্য সচিব ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বক্তৃতা করেন।

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্যরা, সরকারের পদস্থ বেসামরিক এবং সামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রী মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

শেখ হাসিনা তার ভাষণে বলেন, উন্নয়নের যাত্রা যদি আপনারা হিসাব করেন, বাংলাদেশ স্বাধীনের ৫০ বছর হলেও ২৯ বছর কোনো উন্নয়ন হয় নাই। কেবল পেছনে টানা হয়েছে। অথচ জাতির পিতা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার জন্য যে সাড়ে তিন বছর ক্ষমতায় ছিলেন তিনি বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায়ে তুলে আনতে সক্ষম হন। আর ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে এদেশের মানুষ কিছুটা উন্নয়নের ছোঁয়া পায়। এরপর মূল উন্নয়নটা আসে গত ১৩ বছরে টানা তিন মেয়াদে সরকারে থাকার কারণে।

তিনি দেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আমি কৃতজ্ঞতা জানাই এদেশের জনগণের প্রতি তারা বারবার ভোট দিয়ে আমাদের তাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। আর সেজন্যই আজকে ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালন করার সুযোগ পেয়েছি। ২০২১ সাল স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের সুযোগ পেয়েছি। যদিও করোনার কারণে আমাদের অনুষ্ঠান সীমিত আকারে করতে হয়েছে। আমরা উদযাপনকে ২০২২ সাল পর্যন্ত নিয়ে এসেছি।

তিনি বলেন, আমরা যদি বাংলাদেশের ইতিহাস দেখি, সেই ৭১ থেকে ৭৫ সাল এবং ৭৫ এর ১৫ আগস্টের চরম আঘাত। তারপরে অন্ধকারের যাত্রা শুরু। বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলে তার স্বাধীনতার চেতনা, জয় বাংলা স্লোগান, ৭ মার্চের ভাষণ, বঙ্গবন্ধুর নাম নিষিদ্ধ, ছবি নিষিদ্ধ। ২১ বছর এভাবে বাংলাদেশের বিজয়ের ইতিহাস পদদলিত হয় এবং অন্য ইতিহাস জানানোর চেষ্টা করা হয়। ইতিহাস কখনো কেউ মুছে ফেলতে পারে না। আর সত্যের জয় হয়। এটা কেউ কখনো বাধা দিয়ে থামিয়ে দিতে পারে না। আজ সেটাই হয়েছে।

তিনি বলেন, এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আমাদের ইতিহাসের একটি সাক্ষী। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে বাংলার জনগণ শেখ মুজিবকে মুক্ত করে আনার পরে এখানেই ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করে। বাঙালিকে মুক্তির সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণও তিনি দিয়েছিলেন এখানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান)। এখানেই পাকিস্তানী বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। এমনকি দেশ স্বাধীনের পর পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে দেশে ফিরে ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে দেশ গড়ার ভাষণও জাতির পিতা এ উদ্যানে দাঁড়িয়েই দিয়েছিলেন।

জাতির পিতার স্বাধীনতার ঘোষণা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৫ মার্চ পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী আক্রমণ শুরু করে রাজারবাগ পুলিশ লাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পিলখানাসহ ধানমন্ডির বাড়ি। জাতির পিতা তখনই পূর্বপরিকল্পিতভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাটা প্রচার করেছিলেন। তৎকালীন ইপিআর বর্তমান বিজিবির হেড কোয়ার্টার থেকে সুবেদার মেজর শওকত আলী তার চারজন সঙ্গীসহ জাতির পিতার এ ভাষণ সারাদেশে ছড়িয়ে দেন। বিভিন্ন পুলিশ স্টেশনে টেলিগ্রাম, টেলিপ্রিন্টারের মাধ্যমে ২৫ মার্চ রাত এবং ২৬ মার্চ ভোরের আগেই সারাদেশে এ বার্তাটা পৌঁছে যায়।

তিনি বলেন, ২৬ মার্চ এ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে তারা নিয়ে যায় পাকিস্তানে এবং বন্দি করে রাখে। রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা দেয়। তাকে ফাঁসি দেওয়ার জন্য অর্ডার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এর মধ্যেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের পথ ধরেই আমরা এগিয়ে যাবো। ২০৭১ সালে শতবর্ষ উদযাপন করবে আমাদের আগামী দিনের প্রজন্ম। তাদের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়ে এবং আমাদের বর্তমানকে আগামী প্রজন্মের জন্য উৎসর্গ করে যাচ্ছি।

]]>
https://mstvbd.com/?feed=rss2&p=6626 0
প্যারেড গ্রাউন্ডে সম্মিলিত বাহিনীর কুচকাওয়াজে রাষ্ট্রপতি–প্রধানমন্ত্রী ও রামনাথ https://mstvbd.com/?p=5831 https://mstvbd.com/?p=5831#respond Thu, 16 Dec 2021 09:16:28 +0000 https://mstvbd.com/?p=5831 ...বিস্তারিত পড়ুন]]> মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সম্মিলিত বাহিনীর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে উপস্থিত থেকে বিজয় দিবস প্যারেড-২০২১-এর সালাম গ্রহণ করেন তারা।

সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয় এই বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ। এর ১০ মিনিট আগে অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১০টা ২৫ মিনিটে অশ্বারোহী সজ্জিত মোটর শোভাযাত্রা নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং তিন বাহিনীর প্রধান তাকে স্বাগত জানান।

সকাল ১০টা ২৮ মিনিটে প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছান ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। সেখানে ভারতের রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও তিন বাহিনীর প্রধান। এ সময় ভারতের রাষ্ট্রপতিকে সশস্ত্র সালাম জানান সম্মিলিত বাহিনীর সদস্যরা।

এরপর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অভিবাদন মঞ্চে যান এবং ভারতের রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে ভিভিআইপি গ্যালারিতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি অভিবাদন মঞ্চে যাওয়ার পর তাকে সশস্ত্র সালাম দেওয়া হয়। এ সময় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।

সশস্ত্র সালাম গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতি খোলা জিপে প্যারেড গ্রাউন্ড পরিদর্শন করেন। এ সময় জিপে তার সঙ্গে ছিলেন প্যারেড কমান্ডার ও সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল শাহিনুল হক। প্যারেড পরিদর্শনের পর রাষ্ট্রপতি অভিবাদন মঞ্চে ফিরে যান। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহণ করছেন। অভিবাদন মঞ্চে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং তিন বাহিনীর প্রধান।

কুচকাওয়াজে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বিচারপতি, সামরিক ও অসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও মিশন প্রধান, সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ দেশি-বিদেশি আমন্ত্রিত অতিথিরা প্যারেড গ্রাউন্ডে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ উপভোগ করছেন।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের আয়োজিত সুসজ্জিত এই বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী, বিএনসিসি, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও ভিডিপি, কোস্ট গার্ড এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদস্যরা অংশ নিয়েছেন। এছাড়া সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের তথ্য তুলে ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়।

সুসজ্জিত এই বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী, বিএনসিসি, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও ভিডিপি, কোস্ট গার্ড এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদস্যদের সশস্ত্র সালামের পাশাপাশি কুচকাওয়াজের এই আয়োজনে বিভিন্ন যুদ্ধাস্ত্র ও সরঞ্জাম প্রদর্শন করা হবে। সরকারের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে মোটর শোভাযাত্রা করবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়।

বিমান বাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থার অ্যাভিয়েশন ইউনিট ফ্লাই পাস্ট করে রাষ্ট্রপতিকে সালাম জানান। সব শেষে মনোজ্ঞ অ্যারোমিটেক শো প্রদর্শন করে বিমানবাহিনী।

]]>
https://mstvbd.com/?feed=rss2&p=5831 0
আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস https://mstvbd.com/?p=5804 https://mstvbd.com/?p=5804#respond Mon, 13 Dec 2021 18:35:38 +0000 https://mstvbd.com/?p=5804 ...বিস্তারিত পড়ুন]]> শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ (১৪ ডিসেম্বর)। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কময় দিন। বাঙালি জাতির ইতিহাসে বেদনাবিধুর দিন। সারাদেশের মানুষ আজ বেদনাসিক্ত অশ্রু-শ্রদ্ধায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করবে। এ হত্যাকাণ্ড ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম বর্বর ঘটনা। পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের পর ঢাকার মিরপুর, রায়েবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবীদের লাশ ফেলে রাখে।

মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিনগুলোতে পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ও তাদের দোসররা পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। তারা বেছে বেছে অসংখ্য শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, প্রকৌশলী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদসহ দেশের মেধাবী সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা ও গুম করে।

নিহত বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে এ এন এম মুনীর চৌধুরী, ড. জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, আবদুল মুকতাদির, ড. জিসি দেব, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, আনোয়ার পাশা, এস এম রাশীদুল হাসান, ড. শাহাদাত আলী, ড. এম এ খায়ের, এ আর খান খাদিম, ড. এন এম ফয়জুল মাহী, ফজলুর রহমান খান, এ এন এম মুনীরুজ্জামান, ড. সিরাজুল হক খান, মো. সাদেক, শরাফত আলী, গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, অনুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্য ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মীর আবদুল কাইয়ুম, হবিবর রহমান, সুখরঞ্জন সমাদ্দার, ড. আবুল কালাম আজাদ।

সাংবাদিকদের মধ্যে ছিলেন সিরাজুদ্দীন হোসেন, শহীদুল্লাহ কায়সার, খোন্দকার আবু তালেব, নিজামুদ্দীন আহমদ, আ ন ম গোলাম মোস্তফা, শহীদ সাবের, শেখ আবদুল মান্নান (লাডু), সৈয়দ নজমুল হক, এম আখতার, আবুল বাসার, চিশতী হেলালুর রহমান, শিবসদন চক্রবর্তী, সেলিনা পারভীন। এছাড়া শিল্পী আলতাফ মাহমুদ, সাহিত্যিক পূর্ণেন্দু দস্তিদার, মেহেরুন্নেসা, দানবীর রণদাপ্রসাদ সাহাসহ আরও অনেককে হত্যা করে পাকবাহিনী।

স্বাধীনতাবিরোধীরা এই পরিকল্পিত নৃশংস হত্যাযজ্ঞের মধ্যদিয়ে পরাজয়ের জঘন্যতম প্রতিশোধ নেয়। বাংলাদেশ যাতে আর কখনও মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, সেটাই ছিল এ হত্যাযজ্ঞের মূল লক্ষ্য। হত্যার আগে তাদের ওপর চালানো হয়েছিল নির্মম হত্যাযজ্ঞ। বিজয় অর্জনের পর রায়েরবাজারের পরিত্যক্ত ইটখোলা, মিরপুরসহ বিভিন্ন বধ্যভূমিতে একে একে পাওয়া যায় হাত-পা-চোখ বাঁধা দেশের খ্যাতিমান এই বুদ্ধিজীবীদের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। গত বছর করোনার কারণে তেমন কোনো কর্মসূচি ছিল না। এবার করোনার প্রকোপ কমে যাওয়ায় সরকার, বিরোধী দল ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতীয় কর্মসূচি:
এদিন সকাল ৭টা মিনিটে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য বেসরকারি টিভি চ্যানেল সম্প্রচার করবে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যরা এবং যুদ্ধাহত ও উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা সকাল ৭টা ২২ মিনিটে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এবং সকাল সাড়ে ৮টায় রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সর্বস্তরের জনগণ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

দেশের সকল জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য বেসরকারি টিভি চ্যানেল দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে।

]]>
https://mstvbd.com/?feed=rss2&p=5804 0
বাংলাদেশ মেধাশূন্য করতে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে হানাদারবাহিনী https://mstvbd.com/?p=5801 https://mstvbd.com/?p=5801#respond Mon, 13 Dec 2021 18:20:11 +0000 https://mstvbd.com/?p=5801 ...বিস্তারিত পড়ুন]]> প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কময় দিন। মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিনগুলোতে পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ও তাদের দোসররা পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। আমি শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ সব শহীদ মুক্তিযোদ্ধার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। তাদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করছি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ ২৩ বছরের পাকিস্তানি বৈষম্য ও শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে দেশের আপামর জনসাধারণকে সংগঠিত করে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করলে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। জাতির পিতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় পাকিস্তানের দোসর জামায়াতসহ ধর্মান্ধ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। তারা রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনী গঠন করে হানাদারবাহিনীকে সহায়তার পাশাপাশি হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাঙালি জাতির বিজয়ের প্রাক্কালে তারা দেশের শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, প্রকৌশলী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদসহ দেশের মেধাবী সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা ও গুম করে। তাদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, মুনীর চৌধুরী, আনোয়ার পাশা, শহীদুল্লাহ কায়সার, গিয়াসউদ্দীন, ডা. ফজলে রাব্বি, আবদুল আলীম চৌধুরী, সিরাজউদ্দীন হোসেন, সেলিনা পারভীন, ড. জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতাসহ আরও অনেকে। স্বাধীনতাবিরোধীরা এই পরিকল্পিত নৃশংস হত্যাযজ্ঞের মধ্যদিয়ে পরাজয়ের জঘন্যতম প্রতিশোধ নেয়। বাংলাদেশ যাতে আর কখনও মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, সেটাই ছিল এ হত্যাযজ্ঞের মূল লক্ষ্য।

তিনি আরও বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের এই পরাজিত শক্তি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যসহ হত্যা করে। এ জঘন্য হত্যাকাণ্ডের মধ্যদিয়ে তারা হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করে। ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হত্যার বিচারের পথ বন্ধ করে দেয়। মার্শাল ল’ জারির মাধ্যমে গণতন্ত্র হত্যা করে। স্বাধীনতা যুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাস বিকৃত করে। দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের জন্ম দেয়। সাম্প্রদায়িকতাকে উসকে দেয়। খুন-হত্যা-ধর্ষণ-নির্যাতন চালায়। মুক্তমনা, শিক্ষক, লেখক, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালায়। এই সন্ত্রাসী-জঙ্গিগোষ্ঠী ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত দেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। তারা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বানচাল করতে দেশব্যাপী আগুন সন্ত্রাস চালায়, মানুষ খুন করে এবং পরিকল্পিত নাশকতা চালায়। এখনও নানাভাবে তারা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভারে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় এনেছে। বিচারের রায় কার্যকর করা হচ্ছে। এসব রায় বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মা শান্তি পাবে। দেশ ও জাতি কলঙ্কমুক্ত হবে। এই কুখ্যাত মানবতাবিরোধীদের যারা রক্ষার চেষ্টা করছে, তাদেরও একদিন বিচার হবে, ইনশাআল্লাহ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ জাতি চিরদিন গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। আমি দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ’৭১- এর ঘাতক, মানবতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-মৌলবাদীচক্রের রাষ্ট্র ও গণতন্ত্রবিরোধী সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বপালনের আহ্বান জানাচ্ছি।

]]>
https://mstvbd.com/?feed=rss2&p=5801 0
মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী যুক্তরাষ্ট্র এখন মানবতার কথা বলে https://mstvbd.com/?p=5783 https://mstvbd.com/?p=5783#respond Mon, 13 Dec 2021 15:08:51 +0000 https://mstvbd.com/?p=5783 ...বিস্তারিত পড়ুন]]> বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে (মুক্তিযুদ্ধে) যুক্তরাষ্ট্র সরকার বিরোধিতা করেছিল উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, অথচ আজ তারা মানবতার কথা বলে। আমাদের দেশে যে ৩০ লাখ লোক শহীদ হলেন, সেটা কি মানবতাবিরোধী ছিল না?

সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে ‘বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী পতাকা মিছিল’ শিরোনামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ২০১৩ সালে ও ২০১৭ সালে একটি রাজনৈতিক দল রাস্তায় বোমা মারতো, রাস্তায় মানুষ হত্যা করতো- সেসব কি মানবতাবিরোধী ছিল না? সেদিন আপনারা, এই মানবতাবাদীরা কোথায় ছিলেন। যাদের দেশের প্রেসিডেন্ট বলেন নির্বাচনে হেরে গেলে মানি না। আমাদের দেশের ইউপি মেম্বাররাও এমন কথা বলেন না।

তিনি আরও বলেন, এই যুক্তরাষ্ট্র আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে বানচালের জন্য সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু নগদ টাকায় তাদের কাছ থেকে গম এবং চাল কিনেছিলেন, সেটা সময়মতো চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছায়নি। আর এর মাধ্যমে দেশে কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ হলো। ১৯৭৪ সালে ২৭ হাজার মানুষ মারা গেলো। এই দুর্ভিক্ষের জন্য তারা (যুক্তরাষ্ট্র) দায়ী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুব উদ্দীন আহমদ বীরবিক্রম, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, গীতিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান মতিউর রহমান প্রমুখ।

]]>
https://mstvbd.com/?feed=rss2&p=5783 0