রাষ্ট্রপতি – MS TV https://mstvbd.com সত্যের সন্ধানে MS TV অনুসন্ধানে কোটি মানুষের হৃদয়ে Mon, 24 Apr 2023 11:54:45 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.8.1 https://mstvbd.com/wp-content/uploads/2023/01/cropped-cropped-1591217998701-32x32.png রাষ্ট্রপতি – MS TV https://mstvbd.com 32 32 দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন সাহাবুদ্দিন https://mstvbd.com/?p=8046 https://mstvbd.com/?p=8046#respond Mon, 24 Apr 2023 11:54:45 +0000 https://mstvbd.com/?p=8046 ...বিস্তারিত পড়ুন]]> দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন মো. সাহাবুদ্দিন। সোমবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বঙ্গভবনের ঐতিহাসিক দরবার হলে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাকে শপথ পাঠ করান। পরে নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শপথ নথিতে সই করেন। এরপর নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আনুষ্ঠানিকভাবে চেয়ার বদল করেন। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন মো. সাহাবুদ্দিন।

শপথ ও দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যসহ কয়েকশ অতিথি। পাশাপাশি নতুন রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ও ছেলে আরশাদ আদনান রনিসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

 

অনুষ্ঠানটি প্রত্যক্ষ করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, সংসদ সদস্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, তিন বাহিনীর প্রধান, কূটনীতিক, সম্পাদকসহ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা।

 

২১তম রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের স্থলাভিষিক্ত হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মাঠপর্যায়ের রাজনীতিবিদ মো. সাহাবুদ্দিন। এর আগে ১৩ ফেব্রুয়ারি ৭৩ বছর বয়সী মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

 

এদিকে আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে ৪১ দিন ছিলেন। এরপর টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ১০ বছর ৪১ দিন অতিবাহিত করার পর অবসরে গেলেন তিনি।

]]>
https://mstvbd.com/?feed=rss2&p=8046 0
দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হতে যাচ্ছেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু https://mstvbd.com/?p=7871 https://mstvbd.com/?p=7871#respond Sun, 12 Feb 2023 07:00:26 +0000 https://mstvbd.com/?p=7871 ...বিস্তারিত পড়ুন]]> দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হতে যাচ্ছেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে মনোনয়ন দেন। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দলের পার্লামেন্টারি পার্টির প্রধান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এ মনোনয়ন চূড়ান্ত করেন।

মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৪৯ সালে পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। পেশাগত জীবনে তিনি ছিলেন বিচারক। ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন তিনি। দুদকের সাবেক কমিশনার ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদেরও সদস্য তিনি।

একাধারে তিনি আইনজীবী, অধ্যাপক, সাংবাদিক ও বিচারক ছিলেন। ৭৫এর পর বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করায় ২০ আগস্ট সামরিক আইনের ৭ ধারায় আটক হয়ে প্রায় তিন বছর কারাগারে বন্দি জীবন কাটিয়েছেন তিনি।

 

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা, হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনা তদন্তে পরবর্তী সময়ে গঠিত কমিশনের প্রধান ছিলেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। তিনি ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হন। প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের মৃত্যুর পর তাকে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির চেয়ারম্যান পদে মনোনীত করা হয়। এছাড়াও তিনি আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ছিলেন।

১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) বিভাগে যোগদান করেন এবং ১৯৯৫ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ছাত্র জীবনে তিনি পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে সংঘটিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর কারা বরণ করেন।

ব্যক্তিগত জীবনে এক পুত্র সন্তানের বাবা এবং তার স্ত্রী প্রফেসর ড. রেবেকা সুলতানা সরকারের যুগ্ম সচিব ছিলেন।

]]>
https://mstvbd.com/?feed=rss2&p=7871 0
বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও উচ্চশিক্ষার পাদপীঠ: রাষ্ট্রপতি https://mstvbd.com/?p=7497 https://mstvbd.com/?p=7497#respond Thu, 27 Oct 2022 00:14:07 +0000 https://mstvbd.com/?p=7497 ...বিস্তারিত পড়ুন]]> রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও উচ্চশিক্ষার পাদপীঠ। বিশ্ববিদ্যালয় কেবল প্রথাগত জ্ঞান ও শিক্ষা দেয় না, গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন জ্ঞানের ক্ষেত্রও তৈরি করে। মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যেখানে পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি চিকিৎসকরা গবেষণাকর্মেও নিযুক্ত থাকেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) ‘বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃক চতুর্থবারের মতো ‘বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা দিবস’ উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গবেষকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।

আবদুল হামিদ বলেন, আমি মনে করি, নিরন্তর গবেষণার মাধ্যমেই বিভিন্ন রোগের উৎপত্তি। কারণ প্রতিকার ও প্রতিরোধ সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করা যায়, যা মানব কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

তিনি বলেন, ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা শিক্ষায় উচ্চতর গবেষণা এবং দেশের চিকিৎসাসেবায় অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। চিকিৎসা মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে অন্যতম। দেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক।



তিনি আরও বলেন, সেই জনপ্রত্যাশা পূরণে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় ন্যূনতম ব্যয়ে মানসম্মত চিকিৎসাসেবা পৌঁছানোর পাশাপাশি মৌলিক গবেষণা কার্যক্রমের পরিধি আরও বিস্তৃত করতে হবে এবং গবেষণালব্ধ ফল মানবকল্যাণে কাজে লাগাতে হবে।

এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।

বঙ্গবন্ধু একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি আশা করি, বঙ্গবন্ধুর নামে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা ক্ষেত্রে একটি মডেল প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশে-বিদেশে সুনাম অর্জন করবে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের পথে দেশকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।

]]>
https://mstvbd.com/?feed=rss2&p=7497 0
স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা https://mstvbd.com/?p=6620 https://mstvbd.com/?p=6620#respond Sat, 26 Mar 2022 05:06:20 +0000 https://mstvbd.com/?p=6620 ...বিস্তারিত পড়ুন]]> মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রীয়ভাবে শ্রদ্ধা জানানোর পর দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা।

শনিবার (২৬ মার্চ) ভোরে ৫টা ৫৫ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদীতে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুল দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এসময় তারা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী একাত্তরের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর একে একে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

আজ দিনভর জাতীয় স্মৃতিসৌধসহ দেশের প্রতিটি অঞ্চলে সর্বস্তরের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের ফুল দিয়ে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করবেন।

প্রতি বছরই বিশেষ ব্যক্তিবর্গের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধ। সকাল থেকেই মানুষের ঢল নামে স্মৃতিসৌধে। ধীরে ধীরে ফুলে ফুলে ঢেকে যায় গৌরবের সৌধ।

এদিকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে স্মৃতিসৌধ ঘিরে তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। পথে আটকে পড়া মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে চলে যাওয়ার পরই তারা ছুটে যান স্মৃতিসৌধে।

]]>
https://mstvbd.com/?feed=rss2&p=6620 0
মনে রাখবেন, জনগণের টাকায় আমাদের সংসার চলে: রাষ্ট্রপতি https://mstvbd.com/?p=6188 https://mstvbd.com/?p=6188#respond Tue, 18 Jan 2022 22:35:47 +0000 https://mstvbd.com/?p=6188 ...বিস্তারিত পড়ুন]]> মাঠ প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির সংস্কৃতি গড়ে তুলতে বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। একইসঙ্গে জনগণের করের টাকায় আমলাদের বেতন হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

জনগণকে সেবাদান কোনো দয়া-দাক্ষিণ্য বা বদান্যতার বিষয় নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে জনগণের টাকায়ই আমাদের সংসার চলে। তাই সেবা পাওয়াটা জনগণের অধিকার।

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত ডিসি সম্মেলন- ২০২২ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন। বঙ্গভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, দুর্নীতি উন্নয়নের সবচেয়ে বড় অন্তরায়। দুর্নীতির কারণে টেকসই উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই মাঠ প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।

আমলাতন্ত্র ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতিটি স্তরে দায়িত্ব ও ক্ষমতা অর্পণ করা হয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, দায়িত্ব সঠিক ও সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য ক্ষমতা প্রয়োগ অত্যাবশ্যক। কিন্তু ক্ষমতার যাতে অপপ্রয়োগ না হয় তা নিশ্চিত করা আরো বেশি জরুরি।

এ সময় কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব ও ক্ষমতার পার্থক্য সচেতনভাবে বজায় রাখারও তাগিদ দেন রাষ্ট্রপতি।

জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশ্যে আবদুল হামিদ বলেন, মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনে বিরাজমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং নাগরিক সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনার জন্য জেলা প্রশাসক সম্মেলন একটি গুরুত্বপূর্ণ ফোরাম।

তিনি বলেন, আপনারা মাঠ পর্যায়ে সরকারের নানামুখী কার্যক্রমের সমন্বয় ও তত্ত্বাবধানকারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। যা সামগ্রিকভাবে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

রাষ্ট্রপতি জনগণের সেবক হিসেবে দেশ ও জনগণের স্বার্থকে সবার ঊর্ধ্বে স্থান দেওয়ার উপদেশ দেন। তিনি বলেন, আমরা ও আপনারা জনগণের সেবক। তাই জনগণের সেবক হিসেবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করবেন। জনগণের দোরগোড়ায় সরকারি সেবা পৌঁছে দেবেন।

তিনি উল্লেখ করেন, দারিদ্র্য বিমোচন ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি একটি কার্যকর মাধ্যম। এসব কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের দরিদ্র মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ, সামাজিক সুরক্ষা এবং জনগণের বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ডিসিদেরকে কার্যকর নেতৃত্ব প্রদান করতে হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রকৃত দরিদ্ররা যেন এই কর্মসূচির সুফল ভোগ করতে পারে সে বিষয়ে জেলা প্রশাসকদেরকে সচেষ্ট হতে হবে।

তিনি বলেন, পরিবেশবান্ধব গ্রামোন্নয়নের দিকে সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে, যা বিগত বছরগুলো থেকে আলাদা। শহরের ন্যায় গ্রামগুলোতে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। মফস্বল এলাকাগুলোতে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ডিসিদেরকে আবাসন, শিক্ষা, কৃষি নির্ভর শিল্পের প্রসার, চিকিৎসা সেবা, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানীয় জল ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার মাধ্যমে উপজেলা সদর ও বর্ধিষ্ণু শিল্পকেন্দ্রগুলোকে আধুনিক শহর-উপশহর হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিশেষ উদ্যোগী হতে হবে।

রাষ্ট্রপ্রধান দেশের উন্নয়ন সুষম ও জনমুখী করতে জেলা ও উপজেলা সদরে অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে বন, নদী ও পাহাড় রক্ষা করতে কঠোর হওয়ার আদেশ দেন।

মাদকের ব্যাপারে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আব্দুল হামিদ বলেন, মাদকদ্রব্য যাতে দেশের প্রাণশক্তি যুব সমাজকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে না দেয় সে দিকেও ডিসিদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে একটি সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, আমার বিশ্বাস, আপনাদের মেধা ও দক্ষতা জনকল্যাণের লক্ষ্যে গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে যথাযথ অবদান রাখবে। আপনারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে দেশাত্মবোধ ও একাগ্রতার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে যাবেন।

]]>
https://mstvbd.com/?feed=rss2&p=6188 0
জঙ্গিবাদ নির্মূলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির https://mstvbd.com/?p=6158 https://mstvbd.com/?p=6158#respond Sun, 16 Jan 2022 12:34:21 +0000 https://mstvbd.com/?p=6158 ...বিস্তারিত পড়ুন]]> সন্ত্রাস,মাদক,দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে দেশের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

রোববার (১৬ জানুয়ারি) সংসদে দেওয়া ভাষণে এই আহ্বান জানান তিনি। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বছরের প্রথম ও শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়।

সংবিধান অনুযায়ী বছরের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেন। এসময় রাষ্ট্রপতি সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ সংসদে তুলে ধরেন।

মো. আবদুল হামিদ বলেন, জনগণই সব ক্ষমতার উৎস এবং তাদের সব প্রত্যাশার কেন্দ্রবিন্দু জাতীয় সংসদ। জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনস্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দিতে হবে। আমি সরকারি দল ও বিরোধী দলের সব সংসদ সদস্যকে এ মহান জাতীয় সংসদে যথাযথ ও কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাই।

রাষ্ট্রপতি বলেন, নতুন প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, সুখী, সুন্দর ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেওয়া আমাদের পবিত্র কর্তব্য। এ লক্ষ্যে গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং উন্নয়নের মতো মৌলিক প্রশ্নে দলমত, শ্রেণি ও পেশা নির্বিশেষে আপামর জনগণকে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের জন্য আমি উদাত্ত আহ্বান জানাই। আসুন লাখো প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত গৌরবোজ্জ্বল মহান স্বাধীনতা সমুন্নত রেখে দেশ থেকে সন্ত্রাস, মাদক, দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদ নির্মূলের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়তে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি।

তিনি বলেন, গত দেড় দশকে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য সরকারি অর্থের অপব্যবহার রোধপূর্বক প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে প্রকল্প বাস্তবায়ন শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। সর্বোপরি সরকারি সব কার্যক্রমে জনগণের যথাযথ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক সুশাসন প্রতিষ্ঠা করে গণতন্ত্রকে অধিক কার্যকর করতে হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর নীতির কারণে দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে যা উন্নয়নের পূর্বশর্ত। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ক্ষেত্রে বিশ্বের জন্য একটি অনন্য উদাহরণ। দেশের সব সম্প্রদায়ের মানুষ যাতে সম্প্রীতি সহকারে নিজ নিজ ধর্ম চর্চা করতে পারে সে বিষয়ে সরকার সচেষ্ট রয়েছে। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানসহ সব সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসবসমূহ নির্বিঘ্নে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন করা হচ্ছে। তথাপি ধর্মের নামে কোনো ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী যাতে দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করতে না পারে সে দিকে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

‘২০২১ সাল ছিল বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশের জন্য এক অবিস্মরণীয় বছর। এ বছরেই আমরা উদযাপন করেছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী। উৎসবের এমন মহামিলন, গণমানুষের এমন সম্মিলন ইতিহাসে কমই দেখা যায়। যদিও করোনা মহামারির কারণে উৎসব পালনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু শেষ প্রান্তে কোনো বাধাই বাঙালিকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি। সাড়ম্বরে দেশে ও দেশের বাইরে জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতা ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হয়েছে। এসব অনুষ্ঠানে বন্ধু দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা অংশগ্রহণ করে অনুষ্ঠানের মর্যাদা ও আনন্দ-উৎসবে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন। এছাড়া অনেক বন্ধু দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা ভিডিও বার্তার মাধ্যমে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। এর ফলে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সম্পর্ক ও যোগাযোগ বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল হয়েছে।’

মহামারি করোনা সংক্রমণে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে পৃথিবীর অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ এবং সংক্রমণজনিত মৃত্যুর হার অপেক্ষাকৃত কম। প্রধানমন্ত্রীর সাহসী, দূরদর্শী নেতৃত্ব ও অনুপ্রেরণায় আমরা এখন পর্যন্ত করোনা এবং এর অভিঘাত সফলভাবে মোকাবিলা করে যাচ্ছি। তবে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন যাতে আমাদের দেশে সংক্রমণ ছড়াতে না পারে সেজন্য সরকারকে সতর্কতা অবলম্বনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এসময় রাষ্ট্রপতি রেমিট্যান্স প্রেরণে নগদ প্রণোদনা এবং পদ্ধতি সহজীকরণের সুফলের কথাও তুলে ধরেন।

]]>
https://mstvbd.com/?feed=rss2&p=6158 0
গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব জাপার https://mstvbd.com/?p=5942 https://mstvbd.com/?p=5942#respond Mon, 20 Dec 2021 12:30:20 +0000 https://mstvbd.com/?p=5942 গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে আগামী নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় পার্টি (জাপা)।

সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপ শেষে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বঙ্গভবনের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি আরও জানান, সংলাপে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে জাতীয় পার্টি তিনটি প্রস্তাব করেছে। এছাড়া স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটিতে চার-পাঁচজনের নাম প্রস্তাব করেছে দলটি।

]]>
https://mstvbd.com/?feed=rss2&p=5942 0
ঢাকা ছাড়লেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ https://mstvbd.com/?p=5849 https://mstvbd.com/?p=5849#respond Fri, 17 Dec 2021 08:10:29 +0000 https://mstvbd.com/?p=5849 ...বিস্তারিত পড়ুন]]> তিন দিনের সফর শেষে নয়াদিল্লির উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার পর ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ উড়োজাহাজে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বিমানবন্দরে ভারতের রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানান।

মুজিব জন্মশতবর্ষ ও মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ আয়োজনে অংশ নিতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে তিন দিনের সফরে গত বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রথমবারের মতো সস্ত্রীক ঢাকায় পৌঁছান ভারতীয় রাষ্ট্রপতি। ওইদিন বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ কোবিন্দকে স্বাগত জানান। সেখানে ভারতের রাষ্ট্রপতিকে লালগালিচা অভ্যর্থনা ও গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

সফরের প্রথম দিনই মোটর শোভাযাত্রার মাধ্যমে রাজধানীর উপকণ্ঠে সাভারে জাতীয় শহীদ স্মৃতিসৌধে যান ভারতের রাষ্ট্রপতি। সেখানে তিনি জাতীয় স্মৃতিসৌধে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের নয় মাসব্যাপী স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এছাড়া একটি চারাগাছ রোপণ ও দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন। স্মৃতিসৌধের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন তিনি।

ওইদিনই বিকেলে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ভারতীয় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বৈঠক বলেন। সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে ভারতের রাষ্ট্রপতির বৈঠক ও দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। এরপর বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির আয়োজনে নৈশভোজে অংশ নেন রামনাথ কোবিন্দ ও শেখ হাসিনা।

সফরের দ্বিতীয় দিন গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতীয় রাষ্ট্রপতি ১৬ ডিসেম্বর ন্যাশনাল প্যারেড গ্রাউন্ডে বাংলাদেশের বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘সম্মানিত অতিথি’ হিসেবে যোগ দেন। বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে যোগ দিয়ে ভাষণ দেন রামনাথ কোবিন্দ। ভাষণে তিনি বাংলাদেশের চমৎকার অর্থনৈতিক সাফল্য বিশ্বকে উপকৃত করতে পারে বলে উল্লেখ করেন।

সফরের তৃতীয় তথা শেষ দিন শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার স্ত্রী সবিতা কোবিন্দ ও মেয়ে স্বাতী কোবিন্দকে নিয়ে রমনা কালী মন্দিরে আসেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। এসময় তিনি মন্দিরের নতুন ভবন উদ্বোধন করেন। পরে পূজা অর্চনা, প্রার্থনা শেষে মন্দির কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এদিন রমনা কালী মন্দির প্রাঙ্গণে ভারতের রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানান কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক।

]]>
https://mstvbd.com/?feed=rss2&p=5849 0
প্যারেড গ্রাউন্ডে সম্মিলিত বাহিনীর কুচকাওয়াজে রাষ্ট্রপতি–প্রধানমন্ত্রী ও রামনাথ https://mstvbd.com/?p=5831 https://mstvbd.com/?p=5831#respond Thu, 16 Dec 2021 09:16:28 +0000 https://mstvbd.com/?p=5831 ...বিস্তারিত পড়ুন]]> মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সম্মিলিত বাহিনীর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে উপস্থিত থেকে বিজয় দিবস প্যারেড-২০২১-এর সালাম গ্রহণ করেন তারা।

সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয় এই বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ। এর ১০ মিনিট আগে অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১০টা ২৫ মিনিটে অশ্বারোহী সজ্জিত মোটর শোভাযাত্রা নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং তিন বাহিনীর প্রধান তাকে স্বাগত জানান।

সকাল ১০টা ২৮ মিনিটে প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছান ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। সেখানে ভারতের রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও তিন বাহিনীর প্রধান। এ সময় ভারতের রাষ্ট্রপতিকে সশস্ত্র সালাম জানান সম্মিলিত বাহিনীর সদস্যরা।

এরপর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অভিবাদন মঞ্চে যান এবং ভারতের রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে ভিভিআইপি গ্যালারিতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি অভিবাদন মঞ্চে যাওয়ার পর তাকে সশস্ত্র সালাম দেওয়া হয়। এ সময় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।

সশস্ত্র সালাম গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতি খোলা জিপে প্যারেড গ্রাউন্ড পরিদর্শন করেন। এ সময় জিপে তার সঙ্গে ছিলেন প্যারেড কমান্ডার ও সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল শাহিনুল হক। প্যারেড পরিদর্শনের পর রাষ্ট্রপতি অভিবাদন মঞ্চে ফিরে যান। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহণ করছেন। অভিবাদন মঞ্চে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং তিন বাহিনীর প্রধান।

কুচকাওয়াজে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বিচারপতি, সামরিক ও অসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও মিশন প্রধান, সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ দেশি-বিদেশি আমন্ত্রিত অতিথিরা প্যারেড গ্রাউন্ডে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ উপভোগ করছেন।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের আয়োজিত সুসজ্জিত এই বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী, বিএনসিসি, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও ভিডিপি, কোস্ট গার্ড এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদস্যরা অংশ নিয়েছেন। এছাড়া সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের তথ্য তুলে ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়।

সুসজ্জিত এই বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী, বিএনসিসি, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও ভিডিপি, কোস্ট গার্ড এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদস্যদের সশস্ত্র সালামের পাশাপাশি কুচকাওয়াজের এই আয়োজনে বিভিন্ন যুদ্ধাস্ত্র ও সরঞ্জাম প্রদর্শন করা হবে। সরকারের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে মোটর শোভাযাত্রা করবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়।

বিমান বাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থার অ্যাভিয়েশন ইউনিট ফ্লাই পাস্ট করে রাষ্ট্রপতিকে সালাম জানান। সব শেষে মনোজ্ঞ অ্যারোমিটেক শো প্রদর্শন করে বিমানবাহিনী।

]]>
https://mstvbd.com/?feed=rss2&p=5831 0
উন্নয়নশীল দেশ নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভুগলে চলবে না: রাষ্ট্রপতি https://mstvbd.com/?p=5623 https://mstvbd.com/?p=5623#respond Wed, 01 Dec 2021 15:38:40 +0000 https://mstvbd.com/?p=5623 ...বিস্তারিত পড়ুন]]> রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে। এটি খুশির খবর। কিন্তু এনিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভুগলে চলবে না।

বুধবার (১ ডিসেম্বর) ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে শামিল হওয়ার লক্ষ্যে এখন থেকে সর্বাত্মকভাবে কাজ শুরু করতে হবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব এগিয়ে চলছে। কয়েক বছর পরই পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের ঢেউ বইতে শুরু করবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এ লক্ষ্যে পথিকৃতের ভূমিকা পালন করতে হবে। আমাদের শিক্ষার্থীরা যাতে তথ্যপ্রযুক্তিসহ জ্ঞান-বিজ্ঞানের সব শাখায় বিশ্বব্যাপী সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারে, সেভাবে তাদের গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় শিক্ষা ও জ্ঞানানুশীলনের পটভূমিতে ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব ছিল অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী। বিশ্বজ্ঞানের সঙ্গে ব্যক্তিমনের সমন্বয় ঘটানোই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুরু থেকেই এ বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিয়ে আসছে। প্রথম বিশ্বযু্দ্ধের পর থেকে উপমহাদেশে স্বাধীনতাকামী মানুষের উদারনৈতিক মুক্তচেতনানির্ভর ও সামষ্টিক জ্ঞানানুশীলনের কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে ঔপনিবেশিক মানসিকতামুক্ত নতুন শ্রেণি সৃষ্টির পথও প্রশস্ত হয়। সেই পথ ধরেই এই বিশ্ববিদ্যালয় শেষ পর্যন্ত বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামেরও সূতিকাগার হয়ে উঠেছিল।

রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রতিষ্ঠার প্রথম ২০ বছরের মধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। এসময়ে পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক সত্যেন্দ্রনাথ বসু বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের সঙ্গে যৌথভাবে আবিষ্কার করেন ‘বোস-আইনস্টাইন কোয়ান্টাম তত্ত্ব’। অন্যদিকে বহুভাষাবিদ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ প্রমাণ করেন যে, বাংলা ভাষার উৎসস্থল গৌড়ীয় প্রাকৃত ভাষায়, যেটি ছিল বাংলা ভাষার ইতিহাসে এক যুগান্তকারী অবদান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন অস্থিরতা ও মন্দা এবং বিশেষ করে ১৯৪৭ সালের ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির ঘটনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল। পাকিস্তানের সূচনালগ্ন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সরকারের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও আদর্শিক টানাপোড়েন শুরু হয়। এর প্রথম প্রকাশ ঘটে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। মাতৃভাষা বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে গ্রহণের দাবিতে ১৯৪৮ সাল থেকে সূচিত ঐতিহাসিক এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার যৌক্তিক দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জীবন উৎসর্গ করেন। এ আন্দোলনকে উপজীব্য করেই গড়ে ওঠে অসাম্প্রদায়িক বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনা।

তিনি বলেন, বিশ্বের সব জাতিসত্তার ভাষা-সংস্কৃতি সংরক্ষণে একুশে ফেব্রুয়ারি আজ আন্তর্জাতিকভাবে মাতৃভাষা দিবস হিসেবে উদযাপিত হচ্ছে। পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ বৃদ্ধি পেতে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আইয়ুব খান সরকার ১৯৬১ সালে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডিন্যান্স’ জারি করে, যা ‘কালাকানুন’ হিসেবে পরিচিত। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই অর্ডিন্যান্স বাতিল করেন এবং ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ ১৯৭৩’ জারি করেন।

ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে চিন্তার স্বাধীনতা ও মুক্তবুদ্ধি চর্চার পরিবেশ নিশ্চিত হয়। বাংলাদেশ সৃষ্টির আগের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতা-উত্তর সময়ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সব অগণতান্ত্রিক, অপসংস্কৃতি এবং সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছে। এরই স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়। মুজিব জন্মশতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টি’ স্থাপনও একটি অনন্য উদ্যোগ। বর্তমান শতাব্দীতে উন্নয়নশীল বিশ্বে উচ্চশিক্ষার গতি-প্রকৃতি নিয়ে আমাদের নানাভাবে ভাবতে হচ্ছে।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, বিশ্বায়ন ও তথ্য-প্রযুক্তির অভাবনীয় বিস্ফোরণে সৃষ্ট ডিজিটাল বিভক্তি, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে উন্নয়নশীল বিশ্বের যে ব্যবধান সৃষ্টি করেছে তার মোকাবিলা এবং পুঁজি ও শ্রমনির্ভর অর্থনীতি থেকে জ্ঞাননির্ভর-অর্থনীতিতে উত্তরণ এখন শিক্ষার প্রধান বিবেচ্য। এ পরিস্থিতিতে বিশ্বজ্ঞানের সঙ্গে ব্যক্তিক ও সামষ্টিক চেতনার সমন্বয় ঘটানোই বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, কালের পরিক্রমায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে এর অবকাঠামো ও শিক্ষা কার্যক্রমের পরিধি। আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে প্রতিযোগিতারও আন্তর্জাতিকীকরণ হয়েছে। তাই একজন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মান অর্জন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও কারিকুলাম নির্ধারণ ও পাঠদানের ক্ষেত্রে বিশ্বমানের কথা বিবেচনায় রাখতে হবে। পিতা-মাতা ও অভিভাবকরা অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ছেলেমেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠান। এছাড়া তাদের পেছনে দেশ ও জনগণের বিনিয়োগও যথেষ্ট। তাই শিক্ষার্থীদের পবিবার, দেশ ও জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, অবকাঠামো, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ডিপার্টমেন্ট ও ইনস্টিটিউটের সম্প্রসারণ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। কিন্তু এক্ষেত্রে শিক্ষা ও গবেষণার মানই মূলসূচক। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারের চাহিদা এবং যোগ্যতা বিবেচনা করে শিক্ষার মান ও শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়সহ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। আমি আশা করবো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ যাত্রাপথে নেতৃত্বের ভূমিকায় থাকবে।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির শুভক্ষণে বাংলাদেশ পরিচালিত হচ্ছে, স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার অভিযাত্রায় বর্তমানে আমরা এগিয়ে চলেছি ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজন যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে সক্ষম দক্ষ ও মেধাবী জনশক্তি তৈরি, যারা আমাদের এই অভিযাত্রাকে বাস্তবে রূপ দিতে মাঠে কাজ করবেন। ভবিষ্যৎমুখী এ অভিযাত্রায় আপনাদের সবাইকে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আমি ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠান’র শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করছি।

]]>
https://mstvbd.com/?feed=rss2&p=5623 0