নোয়াখালীতে ধর্ষণের পর রক্তক্ষরণ দেখে শিশুকে হত্যা! বার্তা বার্তা বিভাগ প্রকাশিত: ৯:৪৪ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৪, ২০২২ নিখোঁজের নয়দিন পর শিশু আছমা আক্তারের (৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেফতার হন শাহাদাত হোসেন (২২) নামে এক যুবক। ধর্ষণের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ দেখে শ্বাসরোধে আছমাকে হত্যা করেন বলে জবানবন্দি দেন তিনি। রোববার (৩ এপ্রিল) বিকেলে নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নবনীতা গুহের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন শাহাদাত। গত ২৪ মার্চ দুপুরে নোয়াখালীর বদলকোট ইউনিয়নে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে শিশুটি আর ফিরে আসেনি। এরপর শনিবার (২ এপ্রিল) রাতে শাহাদাতের দেখানো একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন জানানষ, জবানবন্দিতে আসামি শাহাদাত হোসেন স্বীকার করেন যে, ধর্ষণের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ দেখে শ্বাসরোধে ওই শিশুকে হত্যা করেন। হত্যার পরও ধর্ষণ করা হয় শিশুটিকে। এরপর পাশের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে মরদেহ লুকিয়ে রাখা হয়। ওসি আরও জানান, আছমা নিখোঁজের নয়দিনের মাথায় শাহাদাত হোসেনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি ধর্ষণ, হত্যা ও মরদেহ গুম করার কথা স্বীকার করেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে শাহাদাতকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে আছমাকে ধর্ষণ-হত্যার দায়ে অভিযুক্ত শাহাদাতের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। শাহাদাত চাটখিল উপজেলার মেঘা গ্রামের মো. বাবুল মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। SHARES দেশজুড়ে বিষয়: ধর্ষণনোয়াখালীশিশুহত্যা