স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত সিরাজুল হকের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ বার্তা বার্তা বিভাগ প্রকাশিত: ৭:৫৭ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৮, ২০২২ মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাসহ জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল কৃতিত্বের জন্য ২০২২ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ মরণোত্তর পদক স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হওয়া মরহুম এডভোকেট সিরাজুল হক (বাচ্চু মিয়া) সাহেবের ২০ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।২০০২ সালের ২৮ অক্টোবর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। সিরাজুল হক (বাচ্চু মিয়া) বঙ্গবন্ধুর গনিষ্ঠ সহচর, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন,ঊনসত্তরের গণঅভ্যূত্থান,১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। ১৯৬৮ সালের আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা,জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলা,বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রাষ্ট্রপক্ষের অন্যতম প্রধান কৌঁশলী ছিলেন তিনি। তিনি ১৯৭০ সালে কসবা-বুড়িচং নির্বাচনী এলাকা থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন কুমিল্লা-৪ (বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ কসবা-আখাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১১ এপ্রিল ১৯৭২ সালে কামাল হোসেনকে সভাপতি করে গঠিত সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য ছিলেন। এছাড়াও ১৯৭৯ সালে দেশে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জিয়াউর রহমানের প্রতিদ্বন্দ্বী এমএজি ওসমানীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে তিনি সক্রিয় ছিলেন। নির্বাচনে ওসমানী হেরে গেলে তিনি দীর্ঘদিন নীরব ছিলেন এবং নিজের আইন ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন। একটা সময় তিনি সুপ্রিম কোর্ট বারের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে সিরাজুল হক জাহানারা হককে বিয়ে করেন। তিনি ছিলেন দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক। বর্তমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দুইবারের সফল আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তার সন্তান। সিরাজুল হক (বাচ্চু মিয়া) ১ আগস্ট ১৯২৫ সালে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার পানিয়ারূপ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে শেখ মুজিবুর রহমানের সহপাঠী ছিলেন। এ উপলক্ষ্যে তাঁর নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও আখাউড়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে মিলাদ, দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। SHARES জাতীয় বিষয়: আইনমন্ত্রীপিতাসিরাজুল হকস্বাধীনতা পুরস্কার