কসবায় এক ভয়ংকর সঙ্ঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের আবির্ভাব MSTV MSTV BD প্রকাশিত: ৬:০৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সমাজের সুশীল ও শান্তিপ্রিয় মানুষের নামে অযৌক্তিক ও মনগড়া বিভিন্ন কিচ্ছা কাহিনী সাজিয়ে মিথ্যা অভিযোগ তুলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার একটি প্রতারক চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। যদিও কসবায় এর পূর্বে এমন সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সন্ধান তেমন একটা পাওয়া যায়নি,এর কারণ মহান মুক্তিযুদ্ধে রণাঙ্গনের তীর্থভূমি এ জনপদের মানুষ সর্বদা স্পষ্টবাদী ও সত্য বলতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। কিন্তু অপরদিকে এই প্রতারক চক্রের পুরুষ সদস্যরা সাহেদ বাটপারের মততো বটেই নারী সদস্যরা যেন আরো একধাপ এগিয়ে,তারা বিভিন্ন চরিত্রে ৯০ দশকের বাংলা চলচ্চিত্রের ন্যায় মায়া কান্না অভিনয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন মহলের দুর্বলতা অর্জন করতে খুবই পটু বলেও জানা গেছে। দর্শক সমাজের কিছু চিহ্নিত দালাল বাটপারদের নিয়ে গঠিত এ প্রতারক চক্রের মূল হোতা হলেন, উপজেলার কুটি ইউনিয়নের মাজখার বাগুর গ্ৰামের মনিরুল ইসলামের ছেলে আমজাদুল ইসলাম, এ প্রতারক চক্রের অপর সহযোগীরা হলেন মনিরুল ইসলাম,পারভিন বেগম,একই গ্রামের আমিনুল ইসলামের স্ত্রী কুলসুম বেগম, উপজেলার বিশরাবাড়ি এলাকার আবু তাহের মিয়ার ছেলে গোলাম মোস্তফাসহ আরো অনেকে রয়েছে, তাদের সমস্ত জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার নথিপত্রসহ কারা এর পিছন থেকে কলকাটি নাড়ছে তাদের নাম পরিচয় খুব শীঘ্রই উন্মোচন করা হবে। এদিকে অনুসন্ধানে জানা গেছে,গেল বছরের শেষের দিকে চিহ্নিত কিছু দালাল বাটপারের মাধ্যমে কসবা থানায় পরপর বেশ কয়েকটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এ প্রতারক চক্রটি,ওই অভিযোগ গুলোতে দেখা যায় কারো থেকে ৭ লাখ,কারো থেকে ৮ লাখ,আবার কারো থেকে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার কথা জানিয়ে বিভিন্ন স্থান ও কাল উল্লেখ করেন তারা, যে ঘটনার সাথে বাস্তবের কোন সাদৃশ্য মিল না পাওয়ায় ওই অভিযোগগুলোকে খারিজ করেদেন কসবা থানা পুলিশ, এবং একপর্যায়ে তাদের থেকে মুচলেকাও রাখা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে, এগুলোর মধ্য দিয়ে সারলিসীর নামে ভয় ভিত্তি দেখিয়ে ভুয়া ডকুমেন্ট দিয়ে এক মহিলা থেকে ৩ লাখ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়ার কথাও জানা গেছে, যার সাক্ষী কসবা থানা আজও বহন করছে, এদের এসব মিথ্যাচার ও হুমকি দামকি থেকে রক্ষা পেতে ওই সময় আরেক ভুক্তভোগী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন,যা তদন্ত সাপেক্ষে থানা পুলিশ ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় এই প্রতারক চক্রটির বিরুদ্ধে মহামান্য আদালতের নিকট অভিযোগ পত্র দাখিল করেন,যা বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুটিশিয়াল আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলেও জানান গেছে। ওই ভুক্তভোগী জানান,সাম্প্রতিক সময়ে তারা আমার স্বাক্ষর দাবি করে যে অঙ্গীকারনামা তৈরি করেছে সে স্বাক্ষরটি আমার নয়,যা এমনিতেই দেখলেই বোঝা যায়,তারপরও আমি মহামান্য আদালতের নিকট অনুরোধ করবো হস্তলেখা বিশেষজ্ঞ ও এক্সপার্ট দ্বারা এ স্বাক্ষরটি যাচাই করা হোক,যদি এ স্বাক্ষরটি আমার হয় তাহলে আইনের মাধ্যমে আমার যে সাজা হবে তা আমি মেনে নেব,আর যদি তা আমার স্বাক্ষর না হয় তাহলে এ প্রতারক চক্রের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবিও জানাচ্ছি। এর কারণ এটি সত্যের সাথে মিথ্যার লড়াই, এ প্রতারক চক্রটিকে কোন ভাবেই ছাড় দেওয়া যাবে না, কারণ আজ তাদেরকে ছাড় দিলে আগামী দিন অন্য কাউকে টার্গেট করবে তারা তাদের বানানো এ ভুয়া ডকুমেন্টিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলেই এ প্রতারক চক্রটির সাথে আর কারা কারা জড়িত তা স্থলের বিড়ালের ন্যায় বেরিয়ে আসবে। এই প্রতারক চক্রটিকে আইনের আওতায় আনতে মাননীয় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের এড. রাশেদুল কাউসার জীবনসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। SHARES অপরাধ বিষয়: কসবাপ্রতারক চক্রব্রাহ্মণবাড়িয়া