ফরিদপুরে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া মাহফিল, বাধা দেওয়ায় থানায় হামলা বার্তা বার্তা বিভাগ প্রকাশিত: ৯:৪২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৩, ২০২১ ফরিদপুরে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া আয়োজিত ওয়াজ মাহফিল বন্ধের নির্দেশনা দেওয়ায় উত্তেজনা ছড়িয়ে থানায় হামলা ও যানবাহন ভাঙচুর করা হয়েছে। এসময় ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধও করা হয়। এতে কয়েক ঘণ্টা দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২২ রাউন্ড গুলি ছোড়ে পুলিশ। রোববার (১২ ডিসেম্বর) রাতে জেলা সদর উপজেলার কানাইপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানায় এ হামলা চালানো হয়। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কানাইপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর এলাকায় একটি জুট মিল মাঠে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। স্থানীয় মারকাজুত তাকওয়া ইসলামি মাদরাসা ও সরদারবাড়ি জামে মসজিদের উদ্যোগে এ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল ইসলামি বক্তা আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনানের। সন্ধ্যা থেকে ওয়াজ মাহফিল শুরু হয়। রাত ৯টার দিকে মাহফিলের মাইকে আবু ত্বহা বক্তব্য দেবেন না বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রশাসনের আপত্তির কারণ দেখিয়ে তখন ওয়াজ মাহফিলও বন্ধ করা হয়। এতে মাহফিলে উপস্থিত শ্রোতাদের একটি অংশ বিক্ষুব্ধ হয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে। আরেকটি অংশ ঘটনাস্থল থেকে খানিকটা দূরে অবস্থিত থানায় হামলা চালায়। তারা সেখানে পুলিশের দুটি গাড়ি, একটি অ্যাম্বুলেন্স ও থানা ভবনের জানালা ভাঙচুর করে। পরে ফরিদপুর থেকে দাঙ্গা পুলিশ এসে শটগানের গুলি ছুড়ে রাত প্রায় ১২টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় তিনজন পুলিশ সদস্য সামান্য আহত হন। মাহফিলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকা রকিব আল হাসান সরদার বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ ফোন দিয়ে আবু ত্বহাকে মঞ্চে ওঠাতে এবং বক্তব্য দিতে নিষেধ করে। এ ঘোষণায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তার দাবি, হামলা ও ভাঙচুরের সঙ্গে আয়োজকদের কেউ জড়িত নয়। এ বিষয়ে কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফকির বেলায়েত হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, মাহফিল আয়োজকরা আমার কাছে প্রথমে এসেছিলেন। আমি তাদের প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদনের মাধ্যমে অনুমতি নেওয়ার পরামর্শ দেই। কিন্তু তারা সেটা না করে প্রশাসনের বিনা অনুমতিতে মাহফিলের আয়োজন করেন। প্রশাসন অনুমতিবিহীন ওয়াজ মাহফিলের বিষয়টি জানতে চায় এবং বন্ধ করতে বলে। এরপর থানা ও যানবাহনে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। তিনি এ ঘটনা তদন্তপূর্বক সঠিক বিচার ও শাস্তি দাবি করেন। করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন শাহ বলেন, থানায় হামলা, যানবাহন ভাঙচুর ও পুলিশ সদস্যদের আহত করার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার জাগো নিউজকে বলেন, ওয়াজ মাহফিলের জন্য উপজেলা থানা থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। ত্বহাকে আনাসহ ওয়াজ মাহফিলের বিষয়ে প্রশাসন কিছুই জানতো না। এমন পরিস্থিতিতে ওখানে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে প্রশাসনের কী বলার ছিল? এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। SHARES দেশজুড়ে বিষয়: ফরিদপুরহামলা