বিদ্যুতের গতিতে ইউরোপে ছড়াচ্ছে ওমিক্রন বার্তা বার্তা বিভাগ প্রকাশিত: ৩:৩৯ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৯, ২০২১ করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ইউরোপজুড়ে ‘বিদ্যুৎ গতিতে’ ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জিন ক্যাসটেক্স। একইসঙ্গে আসছে নতুন বছরে ফ্রান্সে এ ভ্যারিয়েন্ট প্রচণ্ড দাপট দেখাতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি। শনিবার বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ওমিক্রনের বিস্তার সবচেয়ে বেশি যুক্তরাজ্যে। দেশটিতে শনিবার নতুন করে ২৫ হাজার মানুষ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন। ওমিক্রন মোকাবিলায় গত শুক্রবার জার্মানি, আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ড সরকার নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। ইউরোপের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, মহাদেশটিতে এরইমধ্যে ৮৯ মিলিয়নের (৮ কোটি ৯০ লাখ) বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে ১.৫ মিলিয়ন (১৫ লাখ) মানুষের। গত শুক্রবার যুক্তরাজ্য থেকে ভ্রমণকারীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ফ্রান্স। সপ্তাহের শুরুর দিকে ইতালি, গ্রিস ও পর্তুগালের দর্শনার্থীদের জন্যও করোনার নেগেটিভ সনদ দেখানোর বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়েছে। এমনকি টিকা নিয়েছেন, এমন ব্যক্তিদেরও এই কড়াকড়ির আওতায় রাখা হয়েছে। এরইমধ্যে ফরাসি প্রধানমন্ত্রী জিন ক্যাসটেক্স বলেছেন, ওমিক্রন সংক্রমনের ঢেউ মোকাবিলায় বেশি কিছু উদ্যোগের মধ্যে একটি ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। এছাড়া ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজের মধ্যে ব্যবধান কমানো, রেস্তোরাঁ ও দূরপাল্লার যানবাহনে চলাচলের ক্ষেত্রে টিকার ডোজ সম্পন্ন করারও উদ্যোগ রয়েছে। তিনি বলেন, নতুন বছরে ভ্যাকসিন নিয়ে সব দ্বিধা দূর করতে উদ্যোগ ঘোষণা করবে সরকার। কয়েক মিলিয়ন ফরাসি নাগরিকের টিকা গ্রহণে অস্বীকার করার বিষয়টি মেনে নেওয়ার মতো নয়। এটি পুরো দেশকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। বিশ্বে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ফ্রান্সে মোট ৮ কোটি ৫ লাখ ১৮ হাজার ৮৪০ জন আক্রান্ত ও ১ লাখ ২১ হাজার ৩৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: ইউরোপওমিক্রনফ্রান্সলকডাউন