ময়মনসিংহে মায়ের হাতের সন্তান খুন, কুয়ায় ফেলে দেন বাবা

প্রকাশিত: ৯:১২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে কুয়া থেকে উদ্ধার শিশু আয়েশা খাতুনের (২) মৃত্যুর দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বাবা-মা। পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

তারা হলেন হালুয়াঘাট উপজেলার জুগলী ইউনিয়নের গিলাবই গ্রামে বাদশা মিয়া (৩৫) ও তার স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন (২৮)।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে বিচারক তাজুল ইসলাম সোহাগ তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

চিফ জুডিসিয়াল আদালতের পরিদর্শক জসিম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে নিজেদের শিশুসন্তানকে হত্যার কথা বিচারকের কাছে স্বীকার করেন তার বাবা-মা। পরে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে নিহত শিশুর দাদি জুবেদা খাতুন বাদী হয়ে নিজের ছেলে বাদশা মিয়া ও পুত্রবধূ আম্বিয়া খাতুনকে আসামি করে হালুয়াঘাট থানায় মামলা করেন।

পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, ঘটনার দিন সকালে স্থানীয়রা কুয়ায় শিশু আয়েশা খাতুনের মরদেহ ভাসতে দেখে ৯৯৯-এ কল দিয়ে জানান। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ১০ ফুট গভীর ওই কুয়া থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেন। এই ঘটনার পর নিহত শিশুর মা আম্বিয়া খাতুন, বাবা বাদশা মিয়া ও মামা তোফাজ্জল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে আম্বিয়া খাতুন জানান, সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিনগত মধ্যরাতে পারিবারিক দ্বন্দ্বে তিনি শিশুসন্তান আয়েশা খাতুনকে গলা টিপে হত্যা করেন। পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে কুয়ায় মরদেহ ফেলে দিয়ে ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন বাবা বাদশা মিয়া। মঙ্গলবার সকালে কুয়ায় শিশু আয়েশা খাতুনের মরদেহ দেখে ৯৯৯-এ কল দেন স্থানীয়রা ।

হালুয়াঘাট থানার পরিদর্শক শাহীনুজ্জামান খান জাগো নিউজকে, এই ঘটনায় শিশুর মামা তোফাজ্জল হোসেনের সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।