ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় যুবলীগের তোপের মুখে পড়ে বাতিল করা হয়েছে বিএনপি ঘোষিত পূর্ব নির্ধারিত বিক্ষোভ সমাবেশ। একই স্থানে ও একই সময়ে কসবা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ফলে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি এড়াতে বিএনপি তাদের কর্মসূচি বাতিল করেছে।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কসবা পৌর মুক্ত মঞ্চে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই সমাবেশের ডাক দেয় উপজেলা বিএনপি। এই সমাবেশে বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অংশ নেওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু কসবা মুক্তমঞ্চে একই সময়ে কসবা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশবিশেষ
আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল করার ঘোষণা দেওয়া হয়। ফলে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি এড়াতে বিএনপি তাদের কর্মসূচি বাতিল করেছে।

কসবা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরিফুল হক স্বপন এমএস টিভিকে জানান, রাজনীতি আর যা কিছুই বলেন সবকিছুর ঊর্ধ্বে শান্তিশৃঙ্খলা। এছাড়াও আমাদের দেশব্যাপী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত যে কর্মসূচি ছিল, তা আরও ১০দিন বাড়ানো হয়েছে। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের অন্য জায়গায় প্রোগাম রয়েছে, তাই উনারাও আসতে পারবেন না। তাই আমরা আপাতত আজকের কর্মসূচি স্থগিত করেছি। পরবর্তীতে সময় জানিয়ে দেওয়া হবে।

উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এমএ আজিজ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ঘোষণা অনুযায়ী কসবা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ মাসব্যাপী কর্মসূচি পালন করে আসছে। আমাদের কর্মসূচি পালনের ঘোষণা অনেক আগে থেকেই ছিল। তাই আমরা ইতোমধ্যে প্যান্ডেল করেছি, মঞ্চ সাজিয়েছি। আমরা আমাদের কর্মসূচি পালন করব।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন যাবত কসবায় (বিএনপি) কোনো কর্মসূচি কারো চোখে পড়েনি। কসবায় মাননীয় আইনমন্ত্রী অনেক উন্নয়ন করেছেন, অনেক যুবককে চাকরি দিয়েছেন, তাই উনার প্রতি সন্তুষ্ট। হঠাৎ করে ফেসবুকে দেখেছি বিএনপি কর্মসূচি দিয়েছে।