পার্টি অফিসে বোমা নিয়ে বসে থাকলে পুলিশ গ্রেফতার করবেই: তথ্যমন্ত্রী বার্তা বার্তা বিভাগ প্রকাশিত: ৮:২০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৯, ২০২২ নয়াপল্টনে পার্টি অফিসের ভেতরে বোমা রেখে সামনের রাস্তায় সমাবেশের জন্য এতদিন গোঁ ধরে থেকে বিএনপি প্রমাণ করেছে যে, ঢাকায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নয়, সন্ত্রাসী কার্যকলাপই ছিল তাদের উদ্দেশ্য, এমন মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, ফখরুল ও আব্বাসের গ্রেফতার প্রসঙ্গে বলেন,তাজা বোমা নিয়ে যখন কেউ পার্টি অফিসে বসে থাকেন, তখন যারা বসা ছিল সবাই তো অপরাধী, তারা তাজা বোমা নিয়ে কেন বসে ছিলেন? এসব কারণে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে।’ শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব। বিশেষ করে পুলিশের ওপর যখন হামলা হয়, রাস্তাঘাট বন্ধ করে বেআইনিভাবে যখন সমাবেশ করা হয়, তখন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকার বাধ্য হয়েছে। আমরা গত দুই সপ্তাহ ধরে বারবার বলেছি, আপনারা যাতে বড় সমাবেশ করতে পারেন, সে জন্য সরকার সর্বাত্মকভাবে সহায়তা করবে। কিন্তু না, তারা দেশে বিশৃঙ্খলা করার জন্য নয়াপল্টনেই সমাবেশ করবে। এটি তো সম্পূর্ণ ভাবে বেআইনি।’ তিনি বলেন, দেশের সব কয়টি বিভাগীয় শহরে তারা সমাবেশ করেছে। সরকার তাদের নিরাপত্তাও দিয়েছে, সেখানে টুঁ শব্দটুকুও হয়নি। যেখানে একটু হয়েছে, সেখানে তারা নিজেরা নিজেরা চেয়ার ছোঁড়াছুড়ি, মারামারি করেছে।’ তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৪ সালের ২১ আগস্ট সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আমাদের নেত্রীকে হত্যার অপচেষ্টাসহ ২৪ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা ও প্রায় ৫০০ নেতাকর্মীকে আহত করা হয়েছিল। শেখ হেলাল এমপির জনসভায় হামলা চালিয়ে এক ডজন মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। কিবরিয়া সাহেব এবং আহসান উল্লাহ মাস্টারের জনসভায় হামলা চালিয়ে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছিল। সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যাসহ শতশত মানুষকে আহত করা হয়েছিল। অথচ ১৪ বছর ধরে আমরা ক্ষমতায়, তারা নির্বিঘ্নে সমাবেশ করেছে।’ মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের গ্রেফতার প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস তারা সবাই ২০১৩-১৪ ও ১৫ সালে ৫০০ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা, তিন হাজার মানুষকে আগুনে দগ্ধ করা, সাড়ে তিন হাজার গাড়ি পোড়ানো, লঞ্চ-ট্রেন পোড়ানোর হুকুমদাতা হিসেবে আসামি। তারা আদালতকেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন। হাজিরা পর্যন্ত দেননি। গত ৭ তারিখ নয়াপল্টনে যে ঘটনা ঘটলো, পুলিশের ওপর হামলা করা হলো, বিএনপি কার্যালয়ের ভেতরে ১৫টি তাজা বোমা পাওয়া গেলো। চট্টগ্রাম ঢাকাসহ সারাদেশে যে গাড়িতে আগুন দেওয়া ও ভাঙচুর হলো। এগুলোর হুকুমদাতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাস। তাদের নেতৃতত্বে এগুলো হয়েছে।’ ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বিবৃতি প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূত ৭ তারিখের ঘটনা নিয়ে তদন্তের কথা বলেছেন। অবশ্যই তদন্ত হবে। পুলিশ তো বিএনপি অফিসে বোমা পেয়েছে। কারা বোমা রেখেছিল, কারা বোমা বানিয়েছিল, বানানোর টাকা কারা দিয়েছিল, পুলিশের ওপর কীভাবে হামলা করেছিল। এগুলো তদন্তে বেরিয়ে আসবে। পুলিশের কোনো ভুল থাকলে সেটাও তদন্তে বেরিয়ে অসবে।’ তিনি বলেন, সরকার শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নিশ্চিত করেছে। সেই কারণেই বিএনপি সারাদেশে ৯টি বড় সমাবেশ করতে পেরেছে। ঢাকায়ও যাতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে পারে সেজন্য সরকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়াও বিকল্প চারটি প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু পার্টি অফিসে বোমা রাখা, পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল মারা, হামলা করা, বেআইনিভাবে রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করা এগুলো শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নয়।’ যুক্তরাষ্ট্রের উদাহরণ দিয়ে ড. হাছান বলেন, ‘সেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা ক্যাপিটল হিলে হামলা করেছিল। সেটি যেমন শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নয়, সেটার সঙ্গে যারা যুক্ত ছিল তাদের বিরুদ্ধে যেমন তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং করছে, মামলাও পরিচালিত হচ্ছে, এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও অভিযুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। এখানেও ৭ তারিখের ঘটনা তার সঙ্গে তুলনীয় যে, এটাও শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নয়, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ।’ SHARES রাজনীতি বিষয়: তথ্যমন্ত্রীপুলিশবিএনপিবোমাহাসান মাহমুদ