কসবায় পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় বৃদ্ধা শাশুড়িকে হত্যার চেষ্টা বার্তা বার্তা বিভাগ প্রকাশিত: ৮:১৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১২, ২০২১ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের রামপুর গ্রামে অসামাজিক কার্যকলাপে বাধা দেয়ায় বয়স্ক শাশুড়িকে গলা টিপে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তার পুত্রবধূ তাহেরা বেগম ও তার পরকীয়া প্রেমিক ইউনুস মিয়া বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) বিকালে প্রায় ৮০ বছর বয়সি বৃদ্ধা আছিয়া খাতুন বাদী হয়ে কসবা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। বৃদ্ধা আছিয়া খাতুন জানান, তার ছেলে বিল্লাল মিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ প্রবাসে আছেন,এরই সুযোগ নিয়ে রামপুর গ্রামের মৃত আব্বাস আলীর ছেলে ইউনুস মিয়ার সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে আবদ্ধ হয় তার পুত্রবধু তাহেরা বেগম,এরই ধারাবাহিকতায় গেল বুধবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে তার পুত্রবধূ তাহেরা বেগম ও একই গ্রামের ইউনুস মিয়াকে এক রুমে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান তিনি, এসময় বাড়িঘরের লোকদের ডাকার চেষ্টা করলে তাহেরা বেগম ও ইউনুস মিয়া অতর্কিত ভাবে কিল-ঘুসি ও গলা টিপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেন বৃদ্ধা আছিয়া খাতুনকে। একসময় আছিয়া খাতুনের আর্তচিৎকারে বাড়িঘরের লোকজন জড়ো হচ্ছে দেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় ইউনুস মিয়া। এসময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন এই ঐ বৃদ্ধা আছিয়া খাতুন। এ বিষয়ে প্রবাসী বিল্লাল মিয়া বলেন, ইউনূস মিয়ার সঙ্গে আমার স্ত্রীর দীর্ঘদিনের পরকীয়া সম্পর্ক, যারাই এ বিষয়ে মুখ খুলেছে তারা বিভিন্ন সময় আমার স্ত্রী তাহেরা বেগম ও তার পরকীয়া প্রেমিক ইউনুস মিয়া দ্বারা মিথ্যা মামলা কিংবা হামলার শিকার হয়েছে, আমারও তাদের মিথ্যা মামলায় অনেক হয়রানি ও জেল জুলুম সহ্য করতে হয়েছে। তারপরও আমি আমার সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে আমার স্ত্রীকে অসংখ্যবার সংশোধন হওয়ার সুযোগ দিয়েছি, কিন্তু সে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠছে,ফলে আমার সন্তানরাও বিব্রত বোধ করছে। আমার বৃদ্ধা মাকে এর পূর্বেও অনেকবার আমার স্ত্রী মারধর করেছে, তবে এবার আমার স্ত্রী তাহেরা বেগম ও তার পরকীয়া প্রেমিক মিলে রাতের অন্ধকারে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেছে, হয়তোবা আল্লাহতালার অশেষ রহমতে বাড়িঘরের লোকজন সময় মতো হদিস পাওয়ায় আমার মা প্রাণে বেঁচে গেছেন,একজন সন্তান হিসাবে তা আমি মেনে নিতে পারছিনা, আমিও এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। এদিকে অভিযোগ সম্বন্ধে জানতে চাওয়া হলে,অভিযোগ অস্বীকার করে তাহেরা বেগম বলেন,ইউনুস মিয়ার সঙ্গে আমার কোনো অবৈধ সম্পর্ক নেই, আমাদের পারিবারিক কোন গন্ডগোল হলে ইউনুস মিয়া নিকট গেলে তার সুষ্ঠু সমাধান পাই, ইউনুস মিয়া আমার পক্ষে ন্যায় কথা বলার কারনে তার সঙ্গে আমার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে আমার স্বামী ও তার পরিবার প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। এ বিষয়ে কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলমগীর ভূইয়া (পিপিএম-সেবা) বলেন,বৃদ্ধা আছিয়া খাতুন বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন, এ বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি, তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সত্যতা পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। SHARES দেশজুড়ে বিষয়: কসবাপরকীয়াব্রাহ্মণবাড়িয়া