যুক্তরাষ্ট্রে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে মৃত্যু প্রায় ১০০ জনের বার্তা বার্তা বিভাগ প্রকাশিত: ১০:০৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৩, ২০২১ যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলজুড়ে তাণ্ডব চালানো শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে এখন পর্যন্ত ৯৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন আরও কয়েক ডজন মানুষ। বিধ্বস্ত এলাকায় হন্যে হয়ে জীবিতদের খোঁজে উদ্ধার কাজ চলছে। আশা করা হচ্ছে যে, হয়তো ‘অলৌকিকভাবে’ কেউ বেঁচে থাকতে পারেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে আঘাত হানা এই ঘূর্ণিঝড়ের কবলে শুধু কেনটাকি নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও পাঁচটি অঙ্গরাজ্য। প্রায় ৫০টির মতো শক্তিশালী ঝড়ের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে বেশ কয়েকটি শহর। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য কেনটাকিতে বিপর্যয় ঘোষণা করে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় রোববার (১২ ডিসেম্বর) কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের গভর্নর অ্যান্ডি বেশেয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে ওই অঙ্গরাজ্যে অন্তত ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সংখ্যা একশ জনেরও বেশি হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। এই ঘূর্ণিঝড়কে কেনটাকির ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বলে আখ্যায়িত করেছেন বেশেয়ার। ঘূর্ণিঝড়ে মেফিল্ডের একটি মোমবাতির কারখানাতেই কয়েক ডজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ওই কারখানার মুখপাত্র বব ফার্গুসন বলেন, সেখানে ১১০ জন কাজ করছিলেন। কেনটাকির মেফিল্ড শহরটিতে প্রায় ১০ হাজার লোক বসবাস করেন। ঘূর্ণিঝড়ে শহরের প্রায় সব ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, উপড়ে গেছে গাছপালা, ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকায় উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন ন্যাশনাল গার্ডের প্রায় তিনশ সদস্য। কেনটাকির সরকারি হিসাবে ঘূর্ণিঝড়ে আরকানসাসে ২ জন, টেনিসিতে ৪ জন, ইলিনয়ে ৬ জন এবং মিজৌরিতে ২ জন নিহত হয়েছেন। এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকায় সহায়তার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে একে সবচেয়ে বড় ঝড় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: ঘূর্ণিঝড়নিহতযুক্তরাষ্ট্র