Breaking News :

" target="_blank">

ঝিনাইদহ নির্বাচনী সহিংসতায় ২জনের প্রাণ গেল

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় নির্বাচনী সহিংসতায় দুজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার বগুড়া ইউনিয়নের দলিলপুর মাঠে কল্লোল হোসেন (৩৫) নামের একজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেন প্রতিপক্ষের অস্ত্রধারীরা। তিনি উপজেলার বগুড়া গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে।

এর পূর্বে সকালে আব্দুর রহিম নামে আরেক ব্যক্তি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গেল ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচনী সহিংসতায় তিনি আহত হয়েছিলেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, বুধবার (৫ জানুয়ারি) পঞ্চম ধাপে উপজেলার বগুড়া ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের শফিকুল ইসলাম শিমুল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের সঙ্গে ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।

শনিবার নজরুল ইসলামের সমর্থক কল্লোলসহ কয়েকজন পেঁয়াজক্ষেতে কাজ করছিলেন। এসময় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শিমুলের লোকজন লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ধাওয়া করেন। এক পর্যায়ে আওধা দলিলপুর মাঠে কল্লোল হোসেনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেন তারা। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

অন্যদিকে, ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত ২৩ ডিসেম্বর শৈলকুপা উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নের কাতলাগাড়ী বাজারে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদুল হাসান মামুনের সমর্থক আব্দুর রহিমকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকার কাইছার টিপুর সমর্থকরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে তিনি মারা যান। তিনি ওই ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

শৈলকুপার হাটফাজিলপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) তৌফিক হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।