কসবায় ফাগুনের মাতাল হাওয়ায় গাছে গাছে আমের মুকুল মৌ মৌ সুবাস ছড়াচ্ছে

MSTV MSTV

BD

প্রকাশিত: ৬:১৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় যেদিকেই চোখ যায় গাছে গাছে এখন শুধু দৃশ্যমান সোনালী মুকুলের আভা। মুকুলের ভারে ফাগুনের মাতাল হাওয়ায় নুয়ে পড়ার উপক্রম প্রতিটি আম গাছ। মৌমাছিরাও আসতে শুরু করেছে মধু আহরণে।

শীতের জড়তা কাটিয়ে কোকিলের সেই সুমধুর কুহুতানে আবারও ফিরে এসেছে, বাংলার বুক মাতাল করতে ঋতুরাজ বসন্ত। রঙিন বন ফুলের সমারোহে প্রকৃতি যেমন সেজেছে বর্ণিল সাজে। তেমনি নতুন সাজে সেজেছে এই এলাকার আম বাগান ও বাড়ির আঙ্গিনায় লাগানো আম গাছ গুলি । আমের মুকুলে ভরপুর আর ঘ্রাণে কসবায় সর্বত্র জানান দিচ্ছে বসন্তের বার্তা। শোভা ছড়াচ্ছে নিজস্ব মহিমায়। মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে বাগানগুলো।

কৃষিকর্মকর্তা ও আম চাষিরা আশা করছেন, বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে কসবায় আমের বাম্পার ফলন হবে এবার।

ইতোমধ্যেই আমের মুকুলে বাতাসে মৌ মৌ গদ্ধে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে চারিদিক। গাছে মুকুল আশার আগে থেকেই গাছের পরিচর্জা করে আসছেন তারা। যাতে করে গাছে মুকুল বা গুটি বাঁধার সময় কোন সমস্যার সৃষ্টি না হয়। এ উপজেলায় ফজলি, খিড়সা, মোহনা, রাজভোগ, আমরূপালী, বারী-৪, গোপালভোগসহ অন্যান্য জাতের আম চাষের উপযুক্ত হওয়ায় চাষীরা নিজ উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চারা সংগ্রহ করে আমের বাগান করেছেন।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে একাধিক আমচাষি জানান, ক্ষতিকারক পোকার আক্রমণ কম থাকায় এবার কাঙ্খিত ফলনের আশা করছেন তারা। আর ধীরে ধীরে উপজেলা জুড়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে আমের বাগান। উৎপাদিত আম মানসম্মত হওয়ায় চাহিদাও বাড়বে অনেক।

কসবা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাজেরা বেগম জানান, এবার আগাম মুকুল ফুটেছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে মুকুলগুলো নষ্ট হবার সম্ভাবনা নেই। আমের মুকুলের পরিচর্যায় এভোমেট্রিন ও ছত্রাকনাশক মেনকোজেভ বালাইনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। গত মৌসুমে আমের বাজার ভালো থাকায় লাভবান হয়েছিলেন চাষিরা। গত বছরের চেয়ে এ বছর আম বাগান আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। এ উপজেলায় বিরাজমান আবহাওয়া ও মাটি আম চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। আবহাওয়া অনুকুল থাকায় আমের উৎপাদন গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি হবে বলে ধারনা করছেন তিনি।