১৫ লাখ টাকার চুক্তিতে দুবাই বসে টিপু হত্যার পরিকল্পনা করেন মুসা: র্যাব বার্তা বার্তা বিভাগ প্রকাশিত: ২:৩৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২, ২০২২ গ্রেফতারদের দেওয়া তথ্যের বরাতে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, হত্যাকাণ্ডটি দেশে ঘটলেও নিয়ন্ত্রণ করা হয় দুবাই থেকে। দেশে থাকা নাছির উদ্দিন ওরফে কিলার নাছির, মোরশেদুল আলম ওরফে কাইল্লা পলাশসহ আরও কয়েকজন জাহিদুল ইসলাম টিপুর অবস্থান সম্পর্কে বেশ কয়েকদিন ধরে মুসার কাছে তথ্য প্রেরণ করতেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর গ্রেফতার নাছির উদ্দিন ওরফে কিলার নাছির আনুমানিক চারবার জাহিদুল ইসলাম টিপুর অবস্থান সম্পর্কে মুসাকে অবহিত করেন। পরে জাহিদুল ইসলাম টিপু গ্রান্ড সুলতান রেস্টুরেন্ট থেকে বের হওয়ার সময় গ্রেফতার মোরশেদুল আলম ওরফে কাইল্লা পলাশ তাকে নজরদারিতে রাখেন এবং তার অবস্থান সম্পর্কে ফ্রিডম মানিককে অবহিত করেন। টিপুর অবস্থান সম্পর্কে জানানোর প্রেক্ষিতে আনুমানিক রাত সাড়ে ১০টার দিকে আন্ডার ওয়ার্ল্ডের তত্ত্বাবধানে কিলার কর্তৃক হত্যাকাণ্ডটি সংগঠিত হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, গ্রেফতার ওমর ফারুকের সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের জন্য ১৫ লাখ টাকার চুক্তি হয়। ওই ১৫ লাখ টাকা রিজভী হাসান হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের মধ্যে ওমর ফারুক ৯ লাখ এবং অবশিষ্ট টাকা নাছির উদ্দিন ওরফে কিলার নাছির, আবু সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহ ও মুসা দেন। দুবাইয়ে যাওয়ার সময় মুসা পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে যান ও হুন্ডির মাধ্যমে মুসাকে আরও চার লাখ টাকা পাঠানো হয়। অবশিষ্ট ছয় লাখ টাকা দেশে হস্তান্তর করার চুক্তি হয়। গত ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর শাহজাহানপুরে ইসলামী ব্যাংকের পাশে বাটার শো-রুমের সামনে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এসময় গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা সামিয়া আফরান প্রীতি (১৯) নামে এক কলেজছাত্রীও নিহত হন। এছাড়া টিপুর গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের পর ওইদিন রাতেই শাহজাহানপুর থানায় নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়। SHARES জাতীয় বিষয়: আওয়ামী লীগরাজধানীহত্যাকাণ্ড