কসবায় গৃহবধূর রহস্যজনক মৃতদেহ উদ্ধার: স্বজনদের অভিযোগ পরিকল্পিত হত্যা।

প্রকাশিত: ২:১১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৮, ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের কাশীরামপুর গ্রামে শশুর বাড়ি থেকে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃতদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।নিহতের স্বজনদের অভিযোগ এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

গেল রবিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের কাশীরামপুর গ্রামের ছবি মিয়ার বাড়ি থেকে ওই গৃহবধুর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত ওই গৃহবধূ নাম নাসিমা আক্তার(২২),সে একই ইউনিয়নের বেলতলী গ্রামের শাহজাহান মিয়ার মেয়ে ছিলেন।

নিহতের স্বজনরা জানান, গেল তিন বছর পূর্বে কাশিরামপুর গ্রামের ছবি মিয়ার ছেলে সিঙ্গাপুর প্রবাসী মোহন মিয়ার (৩২) সঙ্গে ইসলামী রেওয়াজ অনুযায়ী তার বিয়ে হয়েছিল ,এরপর থেকে স্বামী মোহন মিয়া,শশুর ছবি মিয়া,শাশুড়ি জমিলা খাতুন, চাচা শ্বশুর নবি মিয়া ওই গৃহবধূ নাসিমা আক্তারকে যৌতুকের দাবিতে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা শুরু করে। এ নিয়ে গেল দেড় বছর পূর্বে নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে নাসিমা আক্তার বাদী হয়ে একটি মামলা করেছিলেন,সে সময় কথিত কথিত সমাজ পতিদের মাধ্যমে পরবর্তীতে তাকে আর নির্যাতন করা হবে না এমন আশ্বাসে সালিশির মাধ্যমে সমাধান করে পুনরায় তাকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠানো হয়,এরপর কিছুদিন ভালোভাবে চলার পর নাসিমা আক্তার এক সন্তানের জননী হন। যে সন্তানের বয়স বর্তমানে এক বছর।

নিহতের বড় ভাই রিয়াজ মাহমুদ আরো জানান, ওই সারলিশির পরেও বিভিন্ন সময় তার বোন নাসিমা আক্তারকে তার স্বামী সিঙ্গাপুর প্রবাসী মোহন মিয়ার নির্দেশে শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতো, এক পর্যায়ে তারা তাকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে বলেও জানান তিনি, বোন হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন পিপিএম এমএসটিভিকে জানান, খবর পেয়ে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে মর্গে পাঠানো হয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যু প্রকৃত কারণ জানা যাবে, ইতিমধ্যে নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে কসবা থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনা আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন,এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি,অভিযুক্তদের আটক করা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানিয়েছেন ওসি।