স্বল্পোন্নত দেশে বাণিজ্য অবকাঠামো ও উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

MSTV MSTV

BD

প্রকাশিত: ৪:৩১ অপরাহ্ণ, মার্চ ৭, ২০২৩

স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে অবশ্যই তাদের বাণিজ্য-সম্পর্কিত অবকাঠামো বাড়ানো, উৎপাদনশীল সক্ষমতা গড়ে তোলা এবং বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতামূলক হতে অগ্রাধিকারমূলক বাজারে প্রবেশাধিকারকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, এই লক্ষ্যগুলো অর্জনে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর কানেকটিভিটি, মানবমূলধন, বাণিজ্য অর্থায়ন ও প্রযুক্তি স্থানান্তরে সহায়তা এবং বিনিয়োগ প্রয়োজন।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) কাতার ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে (কিউএনসিসি) স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলনে ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও আঞ্চলিক একীভূতকরণে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের বিষয়ভিত্তিক গোলটেবিল বৈঠকে সহ-সভাপতিত্বকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

ডব্লিউটিওতে এলডিসি গ্রুপ ইতোমধ্যেই এই বিষয়গুলোর ওপর তাদের প্রস্তাব দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রস্তাবগুলোকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা উচিত, বিশেষত কোভিড-১৯ মহামারি এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ দ্বারা সৃষ্ট চ্যালেঞ্জের কারণে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা স্পষ্ট যে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা ও দোহা কর্মসূচিতে নিজেদের জন্য যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা অর্জনে নিজেদের প্রচেষ্টা পুনরায় দ্বিগুণ করতে হবে। এ জন্য জাতীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রতিশ্রুতিগুলো প্রাজ্ঞ, বাস্তবসম্মত এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোর উৎপাদনশীল ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভালোভাবে পরিকল্পিত হওয়া উচিত। আমি আশা করি দোহা কর্মসূচিতে আমরা নিজেদের জন্য যে লক্ষ্যগুলো নির্ধারণ করেছি তা অর্জনে আমাদের আলোচনা ইতিবাচকভাবে অবদান রাখবে।

বাংলাদেশের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার একটি মাল্টিমোডাল পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তঃসীমান্ত সংযোগ উন্নত করার ওপর উল্লেখযোগ্য জোর দিয়েছে। এটি খরচ কমাবে, দক্ষতা বাড়াবে এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে উন্নয়ন ঘটাবে।

তিনি বলেন, তারা দক্ষতা উন্নয়ন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, মেধাসম্পদের উন্নয়ন এবং তাদের প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তার সরকারের নীতি হচ্ছে জাতীয় উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করা। হাতে হাতে কাজ করে আমরা এখন দেশকে এলডিসি উত্তরণের বর্তমান পর্যায়ে নিয়ে এসেছি এবং আমাদের স্বল্পমেয়াদি অগ্রাধিকার হচ্ছে মসৃণ এবং টেকসই উত্তরণ নিশ্চিত করা।

বুরুন্ডি প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট এভারিস্ট এনদাইশিমিয়ে এই ইভেন্টের আরেক সহ-সভাপতি ছিলেন। অন্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, মন্ত্রী, পর্যবেক্ষক, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও অন্যান্য স্বীকৃত আন্তঃসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।